কমলালেবুর মধ্যে যেমন ভিটামিন সি পাওয়া যায়, তেমনি এর খোসাতেও রয়েছে ভিটামিন সি। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাড় ও দাঁতের শক্তি ধরে রাখতে, বিপাক বাড়াতে, ক্ষত সারাতে এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এ পুষ্টি খুবই দরকারি।
আর এই সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য আমরা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, ফলের রস ও খাবার গ্রহণের চেষ্টা করি। তেমনি একটা ফল হল কমলালেবু। কমলার খোসাতেও পাওয়া যায় ভিটামিন সি। ভিটামিন সি-র ঘাটতি পূরণ করা কমলার খোসা থেকেও বানানো যায় ক্যান্ডি, যা অল্প সময়েই তৈরি করে প্রতিদিনের ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ করা যাবে।
গবেষণা অনুযায়ী, কমলার খোসার ১ টেবিল চামচে (৬ গ্রাম) যে পরিমাণ ভিটামিন সি আছে, তা দিয়ে দৈনিক চাহিদার ১৪ শতাংশ মেটানো সম্ভব। ভেতরের রসালো ফলের তুলনায় এ পরিমাণ প্রায় তিন গুণ। ফলের তুলনায় এতে ফাইবারও রয়েছে চার গুণ বেশি। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক আরও অনেক পুষ্টি উপাদান কমলার খোসায় রয়েছে।
কমলালেবুর খোসা থেকে ক্যান্ডি তৈরির প্রক্রিয়াও খুব সহজ। তাছাড়া, এর মধ্যে এত বেশি পরিমাণে স্বাস্থ্যকর উপাদান আছে, আপনার এই ক্যান্ডি বানিয়ে বাড়িতে রাখাও উচিত। শিশুদের বিশেষ করে এই পদ্ধতিতে ভিটামিন খাওয়ানো তুলনামূলক অনেকটা সহজ। কারণ, ঠিকঠাক ডায়েটে শিশুকে আটকে রাখা খুবই চাপের ব্যাপার। সেই কারণে, এই ছোট ছোট ক্যান্ডির আকারে আপনি চাইলেই যখন খুশি তাদের মধ্যে একটু একটু করে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি মিটিয়ে দিতে পারবেন। আপনাকে যা করতে হবে তা হল, কমলার খোসাকে কামড় উপযোগী আকারে টুকরো টুকরো করে কাটতে হবে, তারপর এগুলো মিষ্টি করার জন্য একটি চিনিযুক্ত সিরাপে মেশাতে হবে। তাহলে জেনে নিন এই ক্যান্ডি বানানোর সম্পূর্ণ রেসিপি।
কমলালেবুর ক্যান্ডির রেসিপি:
প্রথমে কমলার খোসা নিয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন।
এখন সেগুলো ধুয়ে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করুন।
আলাদা একটি প্যানে জল আর চিনি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ফোটাতে থাকুন।
এবার এতে কমলার খোসার টুকরাগুলো ফেলে দিন।
ঘন থিকথিকে না হয়ে ওঠা পর্যন্ত ওই মিশ্রণ ফোটাতে থাকুন। আনুমানিক ৩০ মিনিট লাগবে।
হয়ে গেলে জারে সেগুলো সংরক্ষণ করুন।
রাজশাহীর সময় /এইচ