পাঁচ বছরের নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। তারপর বস্তায় ভরে বাজারের কাছে আবর্জনার স্তূপে ছুড়ে ফেলা দেয় লাশ !
কেরলের এর্নাকুলাম জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির বাবা মা বিহারের বাসিন্দা। কেরলে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তাঁরা। সূত্রের খবর, গ্যারেজ জংশনের কাছে নিজের বাড়ি থেকেই শুক্রবার সন্ধ্যায় আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় ৫ বছরের শিশুটি। পরে স্থানীয় একটি বাজারের কাছে আবর্জনার স্তূপ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শারীরিক পরীক্ষায় শিশুটিকে ধর্ষণ করার প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া তার উপর নারকীয় নির্যাতন করা হয়েছিল।
ঘটনার তদন্ত নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিহারেরই বাসিন্দা অন্য এক পরিযায়ী শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গেছে, শিশুটির বাবা-মা যে আবাসনে থাকতেন, সেই একই আবাসনের দোতলায় থাকত অভিযুক্ত। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকেই শিশুটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করে সে।
সেই রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। তখন সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে তার কাছ থেকে বেশি কিছু তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার সকালে জেরার মুখে নিজের অপরাধের কথা কবুল করে সে।
এই ঘটনায় শিশুটিকে জীবিত এবং অক্ষত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি দিয়েছে কেরল পুলিশ। রাজ্য পুলিশের এই ব্যর্থতাকে হাতিয়ার করে বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তোপ দেগেছেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা।
বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের ভিডি সতীশনের দাবি, ‘রাজ্যের অবস্থা এমনই যে এখন শিশুরাও সুরক্ষিত নয়। পুলিশ স্বীকার করে নিয়েছে মাদকের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং মদ্যপানের কারণেই এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’ মদ ও মাদকের বাড়বাড়ন্ত রুখতে সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ তুলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। এমনকী, পুলিশ সতর্ক হলে এমন ঘটনা ঘটত না বলেও দাবি তাঁর।