২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৮:৪৩:১০ পূর্বাহ্ন


নরসিংদীতে দুপক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ৮
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৭-২০২৩
নরসিংদীতে দুপক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ৮ ফাইল ফটো


নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- নাজমুল শিকদার (১৯), মো. হালিম মিয়া (৫০), হারুন মিয়া (২০), মাসুদ রানা (২৪), আল আমিন (৩০), শফিউল্লাহ (৩৫), নাহিদ সরকার (২২) ও সাকিব সরকার (২৪)। এদের শরীরের চার জায়গায় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন নাজমুল শিকদার। তার বাড়ি রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষায়। এ ছাড়া আহত অপর ছয় জনের বাড়ি খোদাদিলা গ্রামে, তারা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

দুপক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। এ নিয়ে রাতে খোদাদিলা গ্রামে দুপক্ষের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে বৃহস্পতিবার ভোরে দুপক্ষ টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত হন অন্তত ৮ জন। তাদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ নাজমুল শিকদারকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও বাকীদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজওয়ানা জেবিন জানান, টেঁটাবিদ্ধ নাজমুলকে পুলিশই আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার শরীরের তিন জায়গা থেকে টেঁটা অপসারণ করেছি আমরা। আরেক জায়গায় টেঁটার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে বক্তব্য জানতে দুপক্ষের নেতৃত্ব দেয়া হাসান আলী ও জয়নাল আবেদীনকে একাধিকবার ফোন দেয়া হয়। তাদের কেউই রিসিভ করেনি। ফোনে এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় কতজন আহত হয়েছেন; তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।