আসন্ন নির্বাচনের আগে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এরই অংশ হিসাবে দেশের প্রধান দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলছেই। বড় দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে গতকালের মতো রাজধানীর সড়কে আজও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাঠে থাকবে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে গতকাল মঙ্গলবারের মতো আজও ঢাকায় পদযাত্রা করেছে বিএনপি। সকালে কর্মসূচির শুরুতে উত্তরা এলাকায় দুপুর পর্যন্ত যানজট ছিল। টঙ্গী থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে ঢাকামুখী সড়কটি কয়েকঘণ্টা পুরোপুরি ছিল পদযাত্রার দখলে।
আবদুল্লাহপুরের পলওয়েল মার্কেটের সামনে থেকে শুরু হওয়া এ পদযাত্রা বিমানবন্দর, কুড়িল বিশ্বরোড, নতুন বাজার, বাড্ডা, রামপুরা ব্রিজ, আবুল হোটেল, খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদাপাড়া, সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হবে বিকাল ৪টায়।
উত্তরা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে বেলা আড়াইটার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের পদযাত্রা ঢোকে প্রগতি সরণিতে। সেসময় কুড়িল থেকে নর্দ্দা, বসুন্ধরা হয়ে বাড্ডা সড়ক (প্রগতি সরণি) যানজটে পুরোপুরি থমকে যায়।
ফেসবুকে ট্রাফিক সংক্রান্ত গ্রুপ ‘ট্রাফিক এলার্টে’ অনেকে পদযাত্রার ছবি পোস্ট করে প্রগতি সরণি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
উত্তরা থেকে গুলিস্তান চলাচলকারী এয়ারপোর্ট পরিবহন বাসের চালক ইমরান হোসেন বলেন, যানজটের কারণে সকাল থেকে পুলিশ কামারপাড়া, বেঁড়িবাঁধ হয়ে গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেয়। তবে যানজট হতে পারে এই শঙ্কায় অনেকেই সকালের ট্রিপ নিয়ে ফেরত এসে গাড়ি বন্ধ করে রাখে।
গতকাল গাবতলীতে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে জমায়েত শুরু হলে ওই সড়কে যাতায়াতকারীদের দিন শুরু হয় যানজট দিয়ে। পদযাত্রায় অংশ নিতে সকাল সাড়ে নয়টার আগেই সেখানে ভিড় করতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। সাড়ে ১০টায় পদযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশকালেও এক পথে চলে গাড়ি। তাদের এই পদযাত্রা কর্মসূচি চলে প্রায় সাত ঘণ্টা।
অন্যদিকে ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শুরু হয় বিকেলে। দুই দলের কর্মসূচির পাশাপাশি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নয় দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক ও শিক্ষিকারা।
ফলে গতকাল দিনভর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা, মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, গাবতলী থেকে শ্যামলী, ফার্মগেট, বাংলা মোটর, শাহবাগ, কাকরাইল এবং গুলিস্তান টু সদরঘাট পর্যন্ত যানজটে স্থবির ছিল।
ডিএমপির উত্তরা ট্রাফিক জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, যানজট যেন না হয় সেজন্য নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নগরবাসী যেন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারেন সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা দায়িত্ব পালন করছি।
গত ১২ জুলাই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ থেকে এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
গত ১৩ জুলাই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের এক বৈঠকে শোভাযাত্রা কর্মসূচি ঠিক করে দলটি।