০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:২০:৫৪ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে শিক্ষার্থীর নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার ৩
ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৭-২০২৩
রাজশাহীতে শিক্ষার্থীর নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার ৩ ফাইল ফটো


রাজশাহী মহানগরীতে এক শিক্ষার্থীর নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বালিয়াপুকুর বড়বটতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আসামীরা হলো, মমতা নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী আয়শা খাতুন (২০) পুঠিয়ার মধুখালী নতুনপাড়া এলাকার বাবুল হোসেন মেয়ে, শ্যামলী আক্তার শিমু (১৯) তানোপের চাঁদপুরগ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে  ও তামিম ইকবাল (২০)পুঠিয়ার ভালুকগাছি গ্রামের ডাবলু মন্ডলের ছেলে। তামিম ইকবাল আসামী আয়েশার প্রেমিক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর বাতাসপুর গ্রামের এক শিক্ষার্থী মমতা নার্সিং ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করতেন। তিনি নগরীর বালিয়াপুকুর বড়বটতলা এলাকার মনিরুজ্জামানের বাসার ৩য় তলার ভাড়া থাকেন। তার সাথে একই ভবনে থাকতেন মমতা নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুন ও শ্যামলী আক্তার শিমু।

রুমমেট আয়েশার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৩নং আসামী পুঠিয়ার ভালুকগাছী সর্দারপাড়ার ডাবলু মন্ডলের ছেলে তামিম ইকবালের। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ওই বাসায় কেউ না থাকলে আয়েশা খাতুন তার প্রেমিক তামিম ইকবালকে মাঝে মধ্যে ডেকে নিতেন। বিষয়টি মনিরা খাতুন জানার পর আয়েশার বাবাকে ঘটনাটি জানান। পরে আয়েশার বাবা রাজশাহীতে এসে মেয়েকে শাসিয়ে যান।

এরই জের ধরে গত ৭ জুলাই রাত ৮টার দিকে প্রেমিক তামিমের নির্দেশে আয়েশা খাতুন ও শিমু ওই শিক্ষার্থীকে তাদের রুমে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ীভাবে মারধর করে। এতে ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়। আয়েশা খাতুন চাবি দিয়ে মনিরা খাতুনের পায়ের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ও মাথায় আঘাত করে।

এক সময় মনিরা খাতুন নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে মোবাইল ফোনে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। মারধরের ঘটনা কাউকে জানালে তারা হুমকি দেয় যে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়া হবে। পরে ওই ভিডিও আয়েশা তার প্রেমিক তামিমের মোবাইল ফোনে দেয়। এরপর তামিম ওই ভিডিও শিক্ষার্থীর বন্ধু-বান্ধবী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

এরপর বিষয়টি শিক্ষার্থী গত ১১ জুলাই মমতা নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাবুকে জানালে একইদিন বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ করে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে একইদিন বোয়ালিয়া মডেল থানার অফির্সার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী’র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (১২ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বোয়ালিয়া মডেল থানার অফির্সার ইনচার্জ (ওসি) মো: সোহরাওয়ার্দী। তিনি বলেন,  গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।