পনেরোটি বিয়ে করে একের পর এক মহিলাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে মহেশ কে বি নায়েক (৩৫ ) নামের এক ব্যক্তি৷
তিনি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৷ বেঙ্গালুরুর বনশংকরির বছর বয়সি ওই বাসিন্দা ওই যুবকের বিরুদ্ধে অন্তত ১৫টি বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে ৷ বিয়ের পরই নিজের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সোনা গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিত। শেষ পর্যন্ত নিজের একটি দুর্বলতার জন্যই ধরা পড়ে ওই প্রতারক৷
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহেশ ম্যাট্রিমনি সাইটে একটি ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে মহেশ ৷ অধিকাংশ সময়ই নিজেকে ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিত সে ৷ এ ভাবেই মহিলাদের ফাঁদে ফেলত সে ৷
যখন সে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিত, তখন বেঙ্গালুরুর টুমাকুরুতে একটি নকল ক্লিনিকও খুলেছিল এবং নিজেকে চিকিৎসক প্রমাণ করতে একজন নার্সকেও ভাড়া করেছিল সে ৷
একাধিক মহিলা মহেশের তৈরি এই ফাঁদে পড়লেও বেশ কয়েকজনের অবশ্য সন্দেহ হয় ৷ তার প্রধান ইংরেজিতে কথা বলার সময় মহেশের দুর্বলতা ৷ নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক অথবা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিলেও ইংরেজিতে একেবারেই কথা বলতে পারত না মহেশ ৷ যে মহিলাদের মহেশ টার্গেট করতেন, তাঁদের অনেকেরই মহেশের ইংরেজি বলার নমুনা দেখে সন্দেহ হয় ৷ তাই মহেশের পাতা ফাঁদে পা দেননি তাঁরা ৷
শেষ পর্যন্ত এ বছরের শুরুর দিকে পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এক মহিলা মহেশের বিরুদ্ধে পুলিশে প্রতারণার অভিযোগ করেন ৷ ওই মহিলাকেও বিয়ে করে ঠকিয়েছে মহেশ ৷ এর পরেও আরও এক মহিলা পুলিশের কাছে একই অভিযোগ করেন মহেশের বিরুদ্ধে ৷
পর পর অভিযোগ পেয়েই মহেশকে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ ৷ শেষ পর্যন্ত গত রবিবার মহীশূর থেকে মহেশকে গ্রেফতার করা হয় ৷
পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট পনেরো জন মহিলাকে বিয়ে করেছে প্রতারক মহেশ ৷ চারটি সন্তানও রয়েছে তার ৷ যদিও নিজের স্ত্রীদের সঙ্গে প্রায় দেখা সাক্ষাৎ করে না মহেশ ৷ যে মহিলাদের সে বিয়ে করেছে তাঁদের অধিকাংশই উচ্চ শিক্ষিত ৷