কুকুরের প্রভুভক্তির কথা সকলেই জানেন। কিন্তু বিড়ালও যে বুদ্ধি খাটিয়ে মালিকের প্রাণ রক্ষা করতে পারে, এমন নজির খুব কম শোনা যায়। সম্প্রতি এমনই এক খবর জানা গিয়েছে। গোটা পরিবারের প্রাণ রক্ষা করেছে পোষ্য বিড়ালের বুদ্ধিমত্তা। খবর জানার পর থেকেই ওই বিড়ালের ছবিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
কর্নাটকের গদগ জেলার ঘটনা। সেখানেই এক বিষধর সাপের হাত থেকে গোটা পরিবারকে রক্ষা করেছে পরিবারের পোষ্য বিড়াল। জানা গিয়েছে, গদগ জেলার নারগোন্ডা শহরের এই ঘটনা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এলাকায়। স্থানীয় আম্বেদকর নগরের এক পরিবারে এই ঘটনা ঘটেছে।
আম্বেদকর নগরের লক্ষ্মণ চালাওয়াড়ির পরিবারের দীর্ঘদিন ধরেই পোষ্য রয়েছে বিড়ালটি। বাড়ির সকলেই তাকে ভালবাসে। কিন্তু সেই বিড়ালই যে পরিবারের সকলের প্রাণ বাঁচাবে এতটাও বোধহয় ভাবেননি কেউ। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পরিবারের সকলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়ির বাইরে ছিলেন।
ফিরে এসেই দেখেন রান্না ঘরের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে পোষ্য বিড়ালটি। যেন পরিবারের সদস্যদের রান্নাঘরে ঢুকতে নিষেধ করছে সে। প্রিয় পোষ্যের এমন অস্বাভাবিক আচরণ দেখেই সন্দেহ হয় সকলের। তাই সতর্ক হয়ে যান। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। প্রাথমিক ভাবে কেউ বুঝতেই পারেননি, কী এমন ঘটল, যে কারণে বিড়ালটি আতঙ্কিত হয়ে পড়ল! কিন্তু একটু পরেই প্রকাশ্যে এল সেই ঘটনা, হাড় হিম হয়ে গেল সকলের।
চালাওয়াড়ি পরিবারের রান্নাঘরেই লুকিয়েছিল একটি বিষধর গোখরো। রান্নাঘরে খুঁজতে গিয়েই তার খোঁজ মেলে। পরিবারের লোকজন আর দেরি করেননি। সরাসরি খবর দেওয়া হয় সাপ উদ্ধারকারীকে। এলাকার সাপ উদ্ধারকারী সুরেবানা এসে উদ্ধার করেন বিষধর সাপটিকে। পরে তাকে নিরাপদ জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে বিড়ালটির। মনে করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে রান্নাঘরে ঢুকেছিল সাপটি। তখনই বিষয়টি লক্ষ্য করেছিল পোষ্য বিড়াল। বিপদ আঁচ করে সমানে সে পাহারা দিয়ে গিয়েছে সাপটিকে। পরিবারের সদস্যরা ফিরে এলে তাঁদেরও সতর্ক করার চেষ্টা করেছে। লক্ষ্মণ চালাওয়াড়ি বলেন, ‘আজ ও ছিল বলেই আমরা সকলে সুস্থ, জীবিত। না হলে কী হত ভাবতেই ভয় করছে।’