পরকীয়ার কথা জানার পর থেকেই তক্কে তক্কে ছিলেন। অবশেষে সম্প্রতি জানতে পারেন স্ত্রী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে হোটেলে গিয়ে উঠেছেন। তারপরই সেখানে গিয়ে হাতেনাতে দু’জনকে ধরেন যুবক। আর তারপরই অ্যালুমিনিয়ামের ব্যাট দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করেন ওই প্রেমিককে। প্রবল মারের চোটে গুরুতর আহত হন ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন (USA) মুলুকে।
৩৩ বছর বয়সি ওই অভিযুক্তের নাম জন দিমিগ। তিনি ওই হোটেলে গিয়ে দেখেন, স্ত্রী খ্রিষ্টি বার্বাতো তাঁর কলিগের সঙ্গে বিছানায় ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছেন। এরপরই ওই যুবককে বিছানা থেকে টেনে নামিয়ে মারতে শুরু করেন জন। হাতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের ব্যাট দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন স্ত্রীর প্রেমিককে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবক। এরপর কোনওরকমে তাঁর স্ত্রী তাঁকে নিরস্ত করে।
পরে ওই প্রেমিক যুবক পুলিশে গিয়ে তাঁর প্রেমিকার স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। জানান, তাঁকে ব্যাট দিয়ে মেরে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। মহিলার সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক, তাও পুলিশকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা দু’জন একই অফিসে চাকরি করি। সেদিন কাজ শেষের পর মদ্যপানের জন্য আমরা ওই হোটেলে গিয়েছিলাম। হঠাৎই সেখানে এসে তাঁর কলিগের স্বামী মারতে শুরু করেন।”
এরপর ওই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখানে দেখা যায়, জন দিমিগ একটি ব্যাট নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করছেন। এরপরই পুলিশ ওই অভিযুক্তের বাড়িতে যায়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিমিগ। তবে তল্লাশি চালিয়ে ওই দম্পতির বাড়ির এককোণা থেকে কাপড়ে মোড়া অবস্থায় ওই ব্যাটটি উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে রক্তমাখা অবস্থায় কালো রঙের একটি টি শার্ট ও সাদা শ্যান্ডো গেঞ্জিও খুঁজে পায় পুলিশ। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
