দ্য হেগ শহরে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দাখিল করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এমন দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, আগ্রাসনকে ন্যায্যতা দিতে গণহত্যার ধারণাকে বিকৃত করছে রাশিয়া। হামলা বন্ধে রাশিয়াকে নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুতই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেন থেকে তাৎক্ষণিক রুশ সেনাপ্রত্যাহারের দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল চীনকে প্রতিরোধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ভারত।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে চীনও ভোটদান থেকে বিরত থাকায় দুই বৈরী দেশ এক কাতারে চলে এসেছে। ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, নতুন অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে পুরনো মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে যাবে না ভারত। এই পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে সেই আভাসই দিয়েছে।
বিষয়টি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তোলা হবে বলে শনিবার ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন। তিনি বলেন, সেখানে রাশিয়াকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে পারবে বিশ্ব।
প্রত্যাশা মোতাবেক, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও আলবেনিয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। এরপর প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল চীন ও ভারত। যদিও নিরাপত্তা পরিষদে দুই প্রতিবেশী দেশ পরস্পরের বিপরীতে অবস্থান করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতও প্রস্তাবে সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ভোটদানে বিরত থাকা ছাড়াও মার্কিন নীতি নির্ধারকদের আরও কিছু প্রস্তাব অগ্রাহ্য করেছে ভারত।
ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেন ব্লিংকিন। তখন তাকে বলেন যে, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমন্বিত জোরালো জবাব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সেনাপ্রত্যাহার কিংবা অস্ত্রবিরতির গুরুত্ব নিয়েও জয়শঙ্করকে ব্রিফ করেন ব্লিংকিন।
কিন্তু জাতিসংঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত টি. এস. তিরুমুর্তি বলেন, আমরা মনে করি, কূটনীতির মাধ্যমে বিতর্কের অবসান সম্ভব। যে কারণে ভারত ভোটদানে বিরত থেকেছে। এটি খুবই অনুতাপের বিষয় যে, এখানে কূটনীতির পথকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। আমাদের অবশ্যই সেখানে ফিরতে হবে। ভারত প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ