কিভের রাস্তায় মুখোমুখি রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। শহরের বহুতল লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। সাদা বরফের চাদর সরিয়ে তার জায়গা নিচ্ছে অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ। শুরু হয়ে গিয়েছে চূড়ান্ত লড়াই।
ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার আগ্রাসনে তিনটি শিশু-সহ ১৯৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট নয়, তিনি শুধু সাধারণ মানুষের মৃত্যুর কথা বলছেন, না কি তাতে ইউক্রেনের সেনাও রয়েছে।
আচমকা টেলিভিশন বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হামলা শুরু হয়ে যায়। তার পর কেটে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময়। এই সময়ের মধ্যে এক বারও থামেনি হামলা। বরং যত সময় গড়িয়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হামলার তীব্রতা। শনিবার ভারতীয় সময় দুপুর ২টো নাগাদ কিভে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয় রাশিয়ার সৈন্যবাহিনীর একটি অংশ। ফলে সেই সময় থেকেই একে বারে রাজধানীর বুকে শুরু চূড়ান্ত লড়াই।
আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল, রাজধানীতে ঢোকার একটি নাকা পয়েন্ট ভাসিলকিভে ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশের ছদ্মবেশে পৌঁছে গিয়েছিল রাশিয়ার সেনা। সেখানে কর্তব্যরত ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে তাদের গুলি বিনিময় হয়। রাশিয়ার সেনার হাতে প্রাণ হারান নাকার দায়িত্বে থাকা ইউক্রেনের সৈনিকরা। এখন জানা যাচ্ছে, সেই পথ দিয়েই বন্যার জলের মতো ঢুকতে শুরু করেছে রাশিয়ার সৈনিকরা। পাল্টা প্রতিরোধ চালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনাও।
শুধু ইউক্রেনের নিয়মিত সেনাবাহিনীই নয়, অস্ত্র হাতে দেশকে বাঁচাতে ময়দানে নেমে পড়েছেন বহু অবসরপ্রাপ্ত সেনানী এবং সাধারণ নাগরিক। সূত্রের খবর, কিভের রাস্তায় রাস্তায় ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজপথে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জেলেন্স্কি।
ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার আগ্রাসনে তিনটি শিশু-সহ ১৯৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট নয়, তিনি শুধু সাধারণ মানুষের মৃত্যুর কথা বলছেন, না কি তাতে ইউক্রেনের সেনাও রয়েছে।
এ দিকে কিভের শহরতলি থেকে যুদ্ধে নিহত রুশ সৈনিকদের দেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক রেড ক্রশকে আবেদন করেছে ইউক্রেন। তাদের দাবি, প্রায় সাড়ে তিন হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এম আর