২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৫:১১:৪৫ পূর্বাহ্ন


গৃহবধূর নগ্ন ছবি ধারন করে দিনের পর দিন ধর্ষণ! গ্রেফতার যুবক
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৭-২০২৩
গৃহবধূর নগ্ন ছবি ধারন করে দিনের পর দিন ধর্ষণ! গ্রেফতার যুবক গৃহবধূর নগ্ন ছবি ধারন করে দিনের পর দিন ধর্ষণ! গ্রেফতার যুবক


গৃহবধূকে (‌৩৫)‌ ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। কোলকাতার সিঁথি এলাকার এক গৃহবধূকে (‌৩৫)‌ ভয় দেখিয়ে এবং ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই গৃহবধূ যখন আর অত্যাচার সহ্য করতে পারেননি তখন পুলিশের দ্বারস্থ হন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। দমদম এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ওই যুবকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। শিয়ালদা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তকে ৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০২০ সালে সেলাই মেশিন কিনে স্বনির্ভর হতে চেয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। তখন পেশায় সেলাই মেশিনের মিস্ত্রি ওই যুবকের সঙ্গে গৃহবধূর পরিচয় হয়। তারপর সেই সেলাই মেশিন সার্ভিসিং করতে ওই যুবক গৃহবধূর সিঁথির বাড়িতে এসেছিল। গৃহবধূর স্বামী পেশায় গাড়ি চালক হওয়ায় বাড়ির বাইরেই বেশিরভাগ সময় কাটাতে হতো। একাকীত্ব কাটাতে তাই এই গৃহবধূ সেলাইয়ের কাজ করে নিজেকে স্বনির্ভর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার মাঝেই ঘটে গেল বিপজ্জনক ঘটনা। একদিন না জানিয়ে বাড়িতে আসে ওই যুবক। তখন বাথরুমে স্নান করছিলেন গৃহবধূ। ওই যুবক তখন অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে ওই গৃহবধূর নগ্ন স্নানের দৃশ্য মোবাইল ফোনে তুলে নেয়।

পুলিশকে দেওয়া ওই গৃহবধূর বয়ান অনুযায়ী, স্নান থেকে বেরিয়ে ঘরে আসতেই তিনি দেখেন ওই যুবক বসে আছেন। আর ওই ভিডিয়ো তাঁকে দেখানো হয়। তখন থেকেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। এমনকী ওই নগ্ন ছবি নিজের মোবাইলে থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘ভাইরাল’ করার ভয় দেখানো হয়। তারপর ওই দিন থেকেই গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। যুবকের ‘ব্ল্যাকমেল’ সহ্য করতে না পেরে একটা সময় অসহায় হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। তখন তাঁকে কখনও শিয়ালদা, কখনও ব্যারাকপুর মহকুমার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অবশেষে এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ২৭ জুন নির্যাতিতা গৃহবধূ সাহস করে সিঁথি থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

গ্রেফতার হওয়া ওই যুবকের নাম মহম্মদ সমিরুদ্দিন (২৭)। তাকে দমদম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে পুলিশ তার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই ভিডিয়ো ডিলিট করা এবং পরীক্ষা করার কাজ চলছে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি এবং হুমকির মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা মহম্মদ সমিরুদ্দিন। সে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের গাড়ুলিয়াতে স্ত্রী এবং তিন সন্তান নিয়ে ভাড়ায় থাকে। ধৃত যুবককে শিয়ালদা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।