২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৬:২৩:২৭ পূর্বাহ্ন


আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে নাবালিকাকে বার বার ধর্ষণ
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৬-২০২৩
আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে নাবালিকাকে বার বার ধর্ষণ আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে নাবালিকাকে বার বার ধর্ষণ


নাবালিকা ছাত্রীকে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলেছিলেন যুবক। তার পর সেই ছবি দেখিয়ে বার বার ধর্ষণ করা হত বলে অভিযোগ। চলত টাকা আদায়ও। গ্লানিতে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। শেষ পর্যন্ত তার মায়ের তৎপরতায় প্রাণরক্ষা হয়। ৬৭বি ধারা (শিশু পর্নগ্রাফি আইন) এবং ৬ নম্বর পকসো ধারা-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। শুক্রবার সাজা ঘোষণা।

২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। ওই এলাকার একটি স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তার মায়ের তৎপরতায় কোনও মতে প্রাণ বাঁচে ছাত্রীর। তার পরেই ছাত্রীর বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জানা যায়, বিজয় রায়(২২) নামে এক যুবক ওই নাবালিকার কিছু আপত্তিজনক ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করেন। টাকা আদায়ের পাশাপাশি বেশ কয়েক বার ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বিজয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একটি কোচিং সেন্টারে বিজয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় কিশোরীর। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। এক দিন কিশোরীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল ওই যুবক। নাবালিকাকে পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই বিজয় তার বেশ কয়েকটি আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে। সেই ছবি দেখিয়ে বারবার নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এমনকি বেশ কয়েক বার টাকাও চায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রীর টাকা তুলে বিজয়কে দিয়েছিল নাবালিকা।

১৮-য় পা দেওয়ার পর ছাত্রীর বিয়ে ঠিক করে পরিবার। অভিযোগ, বিজয় তা জানতে পেরে নাবালিকার আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয়। তার জেরে নাবালিকা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে বলে জানা গিয়েছে পুলিশি তদন্তে। দায়ের হয় মামলা। ২০২২ সালের মে মাস থেকে বিচার শুরু হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৬৭বি ধারা (শিশু পর্নগ্রাফি আইন) এবং ৬ নম্বর পকসো ধারা-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। তিনি আরও জানান, এই মামলায় আপত্তিকর ছবি অভিযুক্তের মোবাইল থেকে যে সাক্ষীদের মোবাইলে পাঠানো হয়েছিল, তা প্রযুক্তির সাহায্যে প্রমাণ করা গিয়েছে। তার পরেই বিজয়কে দোষী সাব্যস্ত করে মেখলিগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা আদালত। বুধবার সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক হিরন্ময় সান্যাল।