স্ত্রীকে দেহব্যবসায় নামিয়ে বসে থাকতে চেয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু স্ত্রী সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে লাশ ঢুকিয়ে ফেলেন। সোনারপুরে গুম হওয়ার ৩ বছর পর বধূর দেহাবশেষ উদ্ধারের ঘটনায় এই স্বীকারোক্তি স্বামীর। ভোম্বল মণ্ডল নামে অভিযুক্ত স্বামীর এই স্বীকারোক্তির পর তাঁর জামিন খারিজের আবেদন জানিয়েছে সিআইডি।
২০২০ সালের মার্চে, লকডাউন চলাকালীন নিখোঁজ হন টুম্পা মণ্ডল নামে ওই বধূ। বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু কিনারা করতে পারেননি সোনারপুর থানার আধিকারিকরা। ভলে ভোম্বল মণ্ডল জামিন পেয়ে যান। মেয়ের খোঁজে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাবা। সম্প্রতি হাইকোর্ট সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। সিআইডি ফের ভোম্বলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। টানা জেরার মুখে অভিযোগ স্বীকার করেন ভোম্বল। শুক্রবার ভাড়াবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে টুম্পা মণ্ডলের দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ।
সিআইডি সূত্রে খবর, জেরায় ভোম্বল স্বীকার করেছে, নিজে সে কোনও কাজকর্ম করত না। হাতে পয়সাকড়িও ছিল না। তাই স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় নামানোর পরিকল্পনা করেছিল সে। সেজন্য ৩ জন যুবকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল সে। কিন্তু স্ত্রী স্বামীর প্রস্তাবে রাজি হননি। এর পর অগ্রিম দেওয়া টাকা ভোম্বলের কাছ থেকে ফেরত চাইতে থাকেন ওই যুবকরা। কিন্তু ভোম্বল ততদিনে টাকা খরচ করে ফেলেছেন। ফলে টাকা ফেরত দিতে পারেননি তিনি। সেই আক্রোশে স্ত্রী বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন তিনি।
এই ঘটনায় সোনারপুর থানার আধিকারিকদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে ঘটনার কিনারা সিআইডি আধিকারিকরা কয়েক দিনে করে ফেললেন তার কিনারা কেন করতে পারল না সোনারপুর থানার পুলিশ?