প্রত্যাশিত অনায়াস জয়ে সিরিজটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে সংগ্রাম করলেও গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। গতকাল সাগরিকায় ৮৮ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজটা ২-০ তে জিতে নিয়েছে টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে লিটন দাসের সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিমের হাফ সেঞ্চুরিই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে। পরে বোলাররাও চেপে ধরেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। এই জয়ে আইসিসি ওডিআই সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে বাংলাদেশ। ১৪ ম্যাচে ১০টি জয়ে ১০০ পয়েন্ট অর্জন করেছে তামিম বাহিনী।
জয়ের জন্য লিটন-মুশফিকের ২০২ রানের রেকর্ড জুটিকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন তামিম। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘লিটন, মুশফিকের জুটি ছিল অসাধারণ। যদিও আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো শেষ করতে পারিনি, কিন্তু বোলাররা আমাদের জন্য কাজ করে দিয়েছে। বোলাররা ছিল দুর্দান্ত।’ দুই ম্যাচে দুটি জয়ে ২০ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। তামিম বলছেন, ‘জয়টা এবং এসব পয়েন্ট পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখনই আপনি খেলবেন সেটার যেন পুরো ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় এবং যত বেশি পয়েন্ট পাওয়া যায়।’
উইকেট দখল করে বোলার ফরিদ আহমাদ কী উদযাপন করবেন, উলটো পিঠ চাপড়ে দিলেন আউট হওয়া ব্যাটসম্যানের। শিকারি নিজেই মুগ্ধ শিকারে। আফগান দলের ফিল্ডিংয়ের সব ক্রিকেটার এমনকি আফগান অধিনায়কও অভিনন্দন জানাতে ভুলেননি বিদায়ি ব্যাটসম্যানকে। লিটন কুমার দাসের ইনিংসটিই এমন, প্রতিপক্ষও যেন খেই হারিয়ে ফেলে তার ব্যাটিং দ্যুতিতে।
১২৬ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস। ১৬ চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা। বেশ সমীহ জাগানিয়া সংখ্যা। বরাবরের মতোই চোখ আর মনে প্রশান্তির পরশ ছড়িয়ে দেওয়া কিছু শট, কবজির রেশমি পেলব বুলিয়ে দেওয়া স্ট্রোক—এসব তো ছিলই। ম্যাচ শেষে লিটন পুরস্কার বিতরণীতে বলেছেন, ‘না, রানের খরা ছিল না। ফরম্যাটটা ভিন্ন ছিল। কিছু দিন আগে নিউজিল্যান্ডে খেলে এসেছি, ব্যাটে রান এসেছে। অনেক দিন পর ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলছি তো। ফরম্যাটের ভিন্নতার কারণে জিনিসটা এমন মনে হচ্ছে।’
ইনিংসের ওপেনিংয়ে নেমে ৪৭তম ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেছেন লিটন। এমন লম্বা সময় ব্যাটিং করাই ছিল তার টার্গেট। ডানহাতি এ ওপেনার বলেন, ‘উপভোগ তো অবশ্যই করেছি। আমার লক্ষ্য ছিল টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে অন্তত ৩৫ ওভার পর্যন্ত খেলা। যদি ততটুক খেলতে পারি তাহলে ৮০ রানের বেশি হয়ে যাবে। চেষ্টা করেছি ইনিংস যতটা সম্ভব বড় করার।’
মুশফিকের সঙ্গে রেকর্ড জুটি নিয়ে লিটন বলেন, ‘জি অবশ্যই, এটা তো আনন্দদায়কই। উনার সঙ্গে আমার অনেকগুলো পার্টনারশিপ আছে।’
রাজশাহীর সময় /এএইচ