গ্রীষ্মকালে শসা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। অন্যন্য উপকারিতা ছাড়াও মেদ ঝরাতে অত্যন্ত কার্যকরী শসা। সঠিকভাবে শসা খেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওজন কমতে পারে।
কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে শসা। শসায় ৯৫ শতাংশ জল থাকে, তাই এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও সহায়ক।শসাতে রয়েছে ইথানল যা রক্তের গ্লুকোজ কমায়। যেহেতু পেটের চর্বি সরাসরি রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের সাথে সম্পর্কিত, তাই এই দুটি কমাতেও পেটের মেদ কমে যায়।
এই শসা হল লাউ বা উদ্ভিদ পরিবারের সদস্য। কিন্তু খাওয়ার সময় অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসে শসা যেমন ফলের মতো আমরা খাই তেমনই স্যালাড থেকে আঁচার সবেতেই খাওয়া হয়। এমনকি তরকারিতে রয়েছে এটি দেওয়ার প্রচলন। তবে শসা কিন্তু রান্না করে না খাওয়াই শ্রেয়
দেশি গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকলেও এতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে, যা ওজন কমাতে সহায়ক। স্যালাড, স্যান্ডউইচের মাধ্যমে গাজর খাওয়া যেতে পারে অথবা জুস, স্যুপ এবং স্মুদি তৈরি করেও গাজরের রস পান করা যায়। এই উপাদান ওজন কমাতে অত্যন্ত সাহায্য করে। রান্না করা গাজরের থেকে কাঁচা গাজরের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।
টমেটোর উপকারিতাও কাঁচা খেলেই বেশি ভাল। কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য টমেটোর জুস খুবই উপকারী। টমেটো লাইকোপেন নামক যৌগ সমৃদ্ধ যা লিপিডের মাত্রা উন্নত করতে পারে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে। টমেটোর রসও কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী ফাইবার এবং নিয়াসিন সমৃদ্ধ। স্থূলতা কমাতেও কাঁচা টমেটো সাহায্য় করে।
বিটরুটে ফোলেট (ভিটামিন বি৯), ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন সি ইত্যাদি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও, এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এটিও কাঁচা অবস্থায় বেশি উপকারি।
সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সকালের খাবারের তালিকায় স্প্রাউটস রাখা জরুরি। এটি রান্না করার পরে তার পুষ্টিগুণ কিন্তু অনেক কমে যায়। এই প্রতিবেদন শুধু সাধারণ তথ্যের জন্য শরীরে বিশেষ সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।