২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:২৭:১০ অপরাহ্ন


সিরাজগঞ্জে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ভাসমান পদ্ধতিতে হাঁস পালন!
আরিফুল ইসলাম প্রিন্স, সিরাজগঞ্জ:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৬-২০২৩
সিরাজগঞ্জে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ভাসমান পদ্ধতিতে হাঁস পালন! সিরাজগঞ্জে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ভাসমান পদ্ধতিতে হাঁস পালন!


সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দিন দিন উন্মুক্ত জলাশয়ে হাঁস পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে হাঁস পালন করলে তুলনামূলক খুব কম খরচ হয়। এছাড়াও উন্মুক্ত স্থানের বিভিন্ন খাবার খেয়ে হাঁসগুলো বেশি বেশি ডিম দেয়। বাজারে হাঁস ও ডিমের দাম ভালো থাকায় এই অঞ্চলে খামার ও খামারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দূর হচ্ছে বেকারত্ব।

প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ২৩৬টি হাঁসের খামার রয়েছে। আগের খামারের সংখ্যা কম থাকলেও এখন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও এর পালন লাভজনক হওয়ায় বেকার যুবকরা খামার করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

উল্লাপাড়া উপজেলার খামারি মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আমার পরিবারে অভাব লেগেই থাকতো। সংসারে আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করতে প্রথমে ৯০০ হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করে খামার শুরু করি। আস্তে আস্তে খামার বড় হতে থাকে। বর্তমানে আমার খামারে ২ হাজার ৪০০টি হাঁস রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, হাঁস পালনে বেশি পানির প্রয়োজন পড়ে না। হাঁসের গলা ডোবাতে পারে সেই পরিমান পানি থাকলেই হয়। এতে খুব সহজেই হাঁসের লালন-পালন করা যায়। আর হাঁসগুলো উন্মুক্ত জায়গায় চরালে নিজেরাই বাইরেই খাবার খেয়ে পেট ভরে ফেলে। ফলে খরচও কম লাগে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলায় ২৩৬টি খামারে হাঁস লালন-পালন করা হচ্ছে। তারা ভাসমান পদ্ধতিতে হাঁস পালন করায় খরচ অনেকটাই কম হচ্ছে। খরচ কম হওয়ায় লাভের পরিমান বেশি হচ্ছে। আমরা খামারিদের হাঁস পালনে বিভিন্ন পরামর্শ, চিকিৎসা, টিকাসহ যাবতীয় সহযোগিতা প্রদান করছি।