জুটি গড়ে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন রহমত শাহ ও নাজিবউল্লাহ জাদরান। দুজনকেই সাজঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। তার অসাধারণ বোলিংয়ে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ দল।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৮ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৮৬ রান। শেষ ১২ ওভারে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে আফগানদের করতে হবে আরও ১২১রান। সফরকারীদের পক্ষে এখন উইকেটে রয়েছেন দুই স্পিনার মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান।
বাংলাদেশের করা ৩০৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে পাওয়ার প্লে'র দশ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। হাঁটুর চোটের কারণে দীর্ঘসময় মাঠের বাইরে থাকা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ওপেনিংয়ে পায়নি আফগানরা। তার জায়গায় ইনিংস সূচনা করেন রহমত শাহ।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সরাসরি থ্রোয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ইব্রাহিম জাদরানের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া রিয়াজ হাসান করেন ১ রান। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে কট বিহাইন্ড করেন শরিফুল ইসলাম। হাশমতের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান।
পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন ৯ রান করা আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন রহমত ও নাজিবউল্লাহ। এ দুজন মিলে গড়েন ৮৯ রানের জুটি। নাজিবের স্ট্রেইট ড্রাইভে ননস্ট্রাইক প্রান্তে স্ট্যাম্প ভাঙলে মাঠে দেখা যায় অনন্য এক ঘটনা।
শেষ পর্যন্ত এ জুটি ভাঙেন তাসকিন। ইনিংসের ২৫তম ওভারে তাসকিনের বলে সোজা বোল্ড হয়ে যান ৫২ রান করা রহমত। পরে ২৯তম ওভারের প্রথম বলে আরেক হাফসেঞ্চুরিয়ান নাজিবকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন তাসকিন। নাজিবের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান।
নাজিবের বিদায়ের পর উইকেটে আসার অনুমতি পান গুরবাজ। তবে বেশিক্ষণ থাকা হয়নি তার। সাকিবের বলে প্লেইড অন হওয়ার আগে ৭ রান করতে পেরেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। সবশেষ ৩৮তম ওভারে মোহাম্মদ নবিকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। নবির ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ রান।
এরই মধ্যে শেষ করিয়ে দেওয়া হয়েছে তাসকিনের সব ওভার। দুর্দান্ত বোলিংয়ে দশ ওভারে ২ মেইডেনসহ মাত্র ৩১ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন এ ডানহাতি পেসার।
রাজশাহীর সময় /এএইচ