একটি দেড় বছর শিশুকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল শিশুটির বাবার বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ তুলল স্ত্রী অর্থাৎ শিশুটির মা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নন্দকুমার থানা অন্তর্গত ইড়খা গ্রামে।
ওই যুবতীর অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও স্বামী মিলে তাঁর শিশুকে হত্যা করেছে। শিশু হত্যার অভিযোগ তুলে নন্দকুমার থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে ওই যুবতী। নন্দকুমার থানা ওই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
নন্দকুমার থানার ইড়খা গ্রামে মঞ্জুশ্রী বেরা পাল শেষ দু তিন মাস বাপের বাড়িতে নিজের পুত্র সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা তার বাপের বাড়িতে চড়া হয় শ্বশুর শাশুড়ি ও তার স্বামী। প্রথমে তাঁকে মেরে অজ্ঞান করে তার শিশুকে হাতে পারলে বেঁধে জলে ডুবিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।
মহিলা জানান, যে সময় ঘটনা ঘটে সেই সময় তার বাবা-মা ও ভাই কেউই বাড়িতে ছিল না, ফাঁকা বাড়িতে তাকে একা পেয়ে স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ি মিলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে মঙ্গলবার রাতেই। নন্দকুমার থানার পুলিশ এসে মৃত শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, নন্দকুমার থানার মহদুতিপুর এলাকার যুবক ভাগবত পাল (বাপি) এর সাথে ইড়কা গ্রামের মঞ্জুশ্রীর সাথে বাড়ির অমতে প্রেম করে বিয়ে করে। বিয়ের প্রথম প্রথম সাংসারিক জীবন ঠিকঠাক চলছিল।
ছেলে জন্ম নেওয়ার পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয়ে অশান্তি দানা বাঁধে। বেশ কয়েকবার মীমাংসার মাধ্যমে সেই অশান্তির সূত্রপাত হয়। কিন্তু শেষ দু তিন মাস অশান্তি চরম পর্যায়ে উঠলে, মঞ্জুশ্রী ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। আর তারপরেই ৬ জুন মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে।
মঞ্জুশ্রীর বাপের বাড়ির লোকজনের জানায় তারা বাড়িতে ছিল না, বাড়িতে ফিরে আসার পর দেখে বাড়ির পাশে বাগানে মঞ্জুশ্রীর হাত বাঁধা ও মুখে কাপড় জড়ানো অবস্থায় এবং শিশুটি পাশেই মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।