২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে গত বছরের আগস্টে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। তার ক্লাব ছাড়ার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বার্সেলোনাও। মৌসুমের শুরু থেকেই ধুঁকছে তারা। আজ জয় পেলে কাল ড্র, এমনই যাচ্ছে বার্সেলোনার চলতি মৌসুম। আর তাকে ছাড়া যে কতটা বিপদে পড়েছে তারা, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্ব থেকে বাদ হওয়াই তার প্রমাণ। মেসির শূন্যতা এখনো অনুভব করছে বার্সেলোনা, এমনটা মনে করেন ক্লাবটির ফুটবলাররাও।
এদিকে, মেসির বার্সা ছাড়ার পরই প্রশ্ন উঠছে, আবার কবে ফিরবেন তিনি! কারণ মেসি আর বার্সা যে একই সূত্রে গাঁথা। আজকের মেসির যা অর্জন, সবটাই তো কাতালানদের হয়ে।
২০০৪ সালে ক্লাবটির হয়ে অভিষেকের পর ৩৪টি শিরোপা জিতেছেন। এ ছাড়া ব্যালন ডি’অর কিংবা অন্য অনেক রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন। অন্যদিকে, পিএসজিতে সেই চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না মেসিকে।
ফরাসি লিগ ওয়ান কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোথাও সেই আগেকার মেসির বা পায়ের জাদু দেখা যাচ্ছে না আর। আর তাই সবার বিশ্বাস, একদিন ঠিকই পুরনো ঘরে ফিরে আসবেন মেসি। এমন বিশ্বাস আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার ছেলে ডিয়েগো সিনাগরাও।
ডিয়েগো সিনগারা বলেন, আমি নিশ্চিত মেসি একদিন বার্সেলোনায় ফিরে আসবে। হয়ত খুব বেশিদিন নেই আর। আগামী গ্রীষ্মেই। প্যারিসে সে খুশিতে আছে বলে মনে হচ্ছে না। সে একজন দারুণ ফুটবলার, তার জায়গাটাও বার্সেলোনা।
এদিকে, মেসির বিদায়ের পর থেকে বার্সেলোনা খুব বেশি ভুগছে না বলেও মনে করেন ম্যারাডোনা পুত্র। তিনি বলেন, পরিস্থিতি ভালোভাবেই মানিয়ে নিচ্ছে বার্সেলোনা। দেম্বেলে, ফেরান ও অবমেয়াংদের নিয়ে ধীরে ধীরে শক্তিশালী দল হয়ে উঠছে তারা।
ফুটবল বিশ্বের অন্যতম বড় বিতর্ক মেসি নাকি ম্যারাডোনা-সেরা কে। তবে ম্যারাডোনা পুত্র এ ব্যাপারে বলেন, এটার আসলে কোনো মানে নেই। তার কাছে যে বাবাই যে সেরা, সেটাও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন সিনাগরা। বলেন, আমার বাবার কোনো তুলনা হয় না। তবে এটাও বলে রাখলেন, অবশ্যই ম্যারাডোনার পর ইতিহাসের সেরা ফুটবলার মেসি।
এদিকে, গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার মিডফিল্ডার ডি ইয়ং স্বীকার করলেন, মেসি বার্সেলোনা ছাড়ছেন–এ বিষয়টি আমি কখনো গুরুত্ব দিয়ে ভাবিনি। তাই আসলেই এটি যখন ঘটল, তখন আমার জন্য তা ছিল ধাক্কা। এটা সবার জন্যই বড় আঘাত ছিল। আমরা এখনো তাকে মিস করি।
আরও বলেন, প্রথমত আমি মনে করেছিলাম, মেসির ক্লাব ছাড়ার খবর সত্য নয়। বিমানবন্দরে আমার বাবা ও ভাইকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলাম আমি। তখন একটি বার্তা পেলাম–মেসি চলে যাচ্ছে। এর খানিক বাদে বুঝতে পারলাম, সত্যিই এটি হচ্ছে।
রাজশাহীর সময় / এম আর