স্ত্রী বিবাহবহিৰ্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। শুধুমাত্র সেই সন্দেহের বশে ২১ দিন বয়সি কন্যাসন্তানের শরীরে কীটনাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করলেন বাবা।
ওডিশার বালাসোর জেলায় এ ঘটনা ঘটে । অভিযুক্তের নাম চন্দন মহান্ত। গত বছর তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তন্ময়ী নামে এক মহিলার। তারপর গত ৯ মে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তন্ময়ী। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তন্ময়ী সিংহিরি গ্রামে তাঁর বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। এরপর গত সোমবার স্ত্রী এবং মেয়েকে দেখতে শ্বশুরবাড়িতে যায় চন্দন ।
তারমধ্যেই সদ্যোজাত মেয়ে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করায় হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন তন্ময়ী। তারপরেই তিনি খেয়াল করেন, স্বামীর হাতে ধরা রয়েছে একটি কীটনাশকের বোতল এবং একটি সিরিঞ্জ। তন্ময়ী খেয়াল করেন, মেয়ের এবং স্বামীর হাতে রক্তের ফোঁটা লেগে রয়েছে। এরপর তিনি এ বিষয়ে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে মেয়েকে ইনজেকশন দেওয়ার কথা অস্বীকার করে চন্দন। কিন্তু পরে সে মেয়েকে কীটনাশকের ইনজেকশন দেওয়ার কথা স্বীকার করে।
সঙ্গে সঙ্গে নিজের বাবা-মাকে সমস্ত কথা খুলে বলেন তন্ময়ী। কালবিলম্ব না করে শিশুটিকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে যান তাঁরা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও শিশুটির অবস্থার উন্নতি তো হয়ইনি, উল্টে আরও অবনতি হয়। এরপরেই বালাসোর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে জেলা হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় শিশুটিকে। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনায় তন্ময়ী কিংবা তাঁর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের না করা হলেও পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। তাতে জানা গেছে, অভিযুক্তের সন্দেহ ছিল তার স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। এমনকী, সন্তানের পিতৃত্ব নিয়েও সন্দেহ ছিল তার। সেই কারণেই সদ্যোজাত সন্তানকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীরা তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন, তাতেই একপ্রকার বাধ্য হয়ে চন্দনকে আটক করেছে পুলিশ।