২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:৩০:৫০ অপরাহ্ন


টাঙ্গুয়ার হাওরে চলছে লুটপাট: অবৈধ জাল ও ছাই জব্দ, ৫ জেলের অর্থদন্ড
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২৩
টাঙ্গুয়ার হাওরে চলছে লুটপাট: অবৈধ জাল ও ছাই জব্দ, ৫ জেলের অর্থদন্ড টাঙ্গুয়ার হাওরে চলছে লুটপাট: অবৈধ জাল ও ছাই জব্দ, ৫ জেলের অর্থদন্ড


সুনামগঞ্জে রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওরে দীর্ঘদিন যাবত চলছে মৎস্য শিকার। সেই সাথে নিধন করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ। প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে একটি মহল ওই হাওরের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের ম্যানেজ করে, লাখলাখ টাকার সম্পদ অবৈধ ভাবে করছে লুটপাট। এমন অভিযোগ হাওরের সচেতন জনগনের।

তবে গতকাল শনিবার (২৭ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মাদার ফিসারিজ খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ২লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ কারেন্ট জালসহ প্লাস্টিকের কিরনমালা ছাই (মাছ ধরার ছোট খাচা) ও চায়না দুয়ারী জব্দ করা হয়েছে। সেই সাথে ওই হাওরে অবৈধ ভাবে মাছ শিকারের অপরাধে স্থানীয় ৫জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী ৫ জেলেকে ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন। এবং জব্দকৃত কারেন্ট জালসহ অন্যান্য অবৈধ মালামাল প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে হাওর পাড়ে ধ্বংস করেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- ৬ কুড়ি কান্দা (উচু জায়গা) ও ৯ কুড়ি বিলের এই টাঙ্গুয়ার হাওরটি রামসার সাইট ঘোষনা করার পর, তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আসনার বাহিনী নিয়োগ করা হয়। কিন্তু আনসাররা জেলেদের সাথে মিলে রাতের আধারে মাছ শিকার করে লাখলাখ টাকা বিক্রি করে। জেলেরা যখন আনসারদের কথা মতো কাজ না করে তখনই ঘটে নানান বিপত্তি। এসব কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে জেলে ও প্রশাসনের লোকজনের সাথে অনেক বার ঘটেছে অপ্রীতিকর ঘটনা। তাই এই হাওরের দায়িত্বে থাকা আনসারদের অনিয়মের দিকে নজরদারী বৃদ্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগীতা প্রয়োজন।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুপ্রভাত চাকমা অভিযান শেষে সাংবাদিকদের জানান- টাঙ্গুয়ার হাওরের সংরক্ষিত এলাকায় যারা অনিয়ম করবে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবেনা। তাই তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য, টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের বাসিন্দাদের তিনি আহবান জানান।