উনিশ বছর বয়সি এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং জোর করে তাঁর সন্তানকে বিক্রির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করল বালি থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বালি থানার পুলিশ ওই শিশুটিকে উদ্ধার করেছে।
সূত্রের খবর, বালির বাসিন্দা ওই তরুণী বেলুড়ে গিরিরাজ খৈতান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করতেন। অভিযোগ, গিরিরাজ ও তার এক পরিচিত ষাটোর্ধ্ব শঙ্কর প্রসাদ মাঝেমধ্যেই তাঁকে ধর্ষণ করত। এই নারকীয় কাণ্ডের জেরেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই তরুণী। এরপর দুই অভিযুক্ত মিলে সালকিয়ার এক নার্সিংহোমে ভর্তি করেন তরুণীকে। সেখানে এক সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
অভিযোগ, জন্মের পরই গিরিরাজ ও শঙ্কর দু’জন মিলে ক্রমাগত বাচ্চাটিকে লেকটাউনের বাসিন্দা বিষ্ণু শর্মা ও স্বাতী শর্মার কাছে বিক্রি করার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তরুণী রাজি হননি। নিজের সন্তানকে বাঁচানোর তাগিদে একদিন তিনি আত্মীয়ের বাড়িতে রওনা দেন। সেইসময়েই গিরিরাজ, শঙ্কর, বিষ্ণু ও স্বাতী- চারজন মিলে তাঁর পথ আটকায়। জোর করে সন্তানকে কেড়েও নেয়।
এরপর বাচ্চাটিকে মালিপাঁচঘড়া এলাকায় এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেয় অভিযুক্তরা। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন চুপই ছিলেন তরুণী। তবে দিনকয়েক আগে বালি থানায় গিয়ে তিনি ওই চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। ধরা হয় অভিযুক্ত চারজনকেই। এরপর তাদের জেরা করে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।