প্রেমের পরিণতি ভাল হয়নি। ছেড়ে গিয়েছিলেন প্রেমিকা। সেটাই সহ্য করতে পারেনি পেশায় পুলিশকর্মী ওই যুবক। তাই প্রতিশোধ নিতে প্রেমিকার বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল সে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে প্রেমিকার বাবার। প্রেমিকা ও তাঁর ভাই গুলি লাগায় গুরুতর জখম হয়েছেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রেললাইন থেকে মিলল ওই পুলিশকর্মীর ছিন্নভিন্ন দেহ।
ভয়ঙ্কর ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh)। ওই পুলিশকর্মীর নাম সুভাষ খারাডি। ২৬ বছর বয়সি ওই যুবক দেওয়াস এলাকায় পুলিশের গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করত। জানা গেছে, তার সঙ্গে শাজাপুরের বাসিন্দা শিবানী নামে ২৫ বছর বয়সি এক তরুণীর সম্পর্ক ছিল। গত রবিবার আচমকাই একটি দেশি পিস্তল নিয়ে তরুণীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে সুভাষ। তারপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তরুণীর বাবার। গুরুতর আহত হন শিবানী ও তাঁর ভাই। এরপরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
এরপর শিবানীর সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে সুভাষ ।
তাতে সে লেখে, ‘ও আমাকে ধোঁকা দিয়েছিল, তাই আমি ওকে মেরে ফেলেছি। আমি ওকে এমন যন্ত্রণা দিয়েছি যে ও কোনওদিন ভুলবে না।’
এই পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরেই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। কয়েক ঘণ্টা পর তার ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তরুণী ও তাঁর ভাইকে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ইন্দোরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুজনে।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ প্রধান যশপাল সিং রাজপুত।