দশম শ্রেণির ছাত্রী (১৫) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়। সাত মাসের গর্ভবতী মেয়ের গর্ভপাতের অনুমোদন চেয়ে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তার বাবা। সোমবার কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি জিয়াদ রহমান মেয়েটির গর্ভপাতে অনুমতি দিয়েছেন।
মেয়েটির পরিবারের তরফে কোর্টকে জানানো হয়, তার এক তুতো দাদার কারণেই সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। বিচারপতি এই রায় দিতে গিয়ে বলেন, ১৫ বছরের মেয়েটিকে যাতে সামাজিক ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও জটিলতায় না পড়তে হয়, সে কারণেই গর্ভপাতের অনুমোদন দেওয়া হল।
তার আগে আদালতই একটি বিশেষজ্ঞ টিম গড়ে দিয়েছিল। যেখানে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ থেকে অন্য চিকিৎসকরা ছিলেন। একাধিক সরকারি হাসপাতালের সুপারও ছিলেন সেই কমিটিতে। তাঁরা মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেন হাইকোর্টে।
এদিন রায় দিতে গিয়ে আদালত স্পষ্ট বলেছে, মেডিক্যাল টিম তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, মেয়েটি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে সম্ভব। আবার তারা এও বলেছে, গর্ভপাত করলেও নাবালিকার জীবনের ঝুঁকি নেই। মেয়েটির বাবার আর্জি ছিল, বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন করে আদালত নির্দেশ দিক গর্ভপাতের।
কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এ ক্ষেত্রে সামাজিক জটিলতার বিষয় যেমন রয়েছে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাবালিকার স্বাস্থ্য। কিন্তু মেডিক্যাল টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতেই আদালত গর্ভপাতের অনুমোদন দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, আদালত এও বলেছে, গর্ভপাত করতে হবে যত্নের সঙ্গে। যাতে মেয়েটির কোনও ক্ষতি না হয়। তারপর মেয়েটির মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সে ব্যাপারে গর্ভপাত পরবর্তী সময়ে কাউন্সেলিংয়ের কথাও বলেছে কেরল হাইকোর্ট।