একের পর এক বিয়ে। আর বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই বরের বাড়ি থেকে নগদ, গয়না নিয়ে কনের চম্পট। বড় চেনা গল্প। সুবোধ ঘোষের ‘ঠগিনী’। কিন্তু বাস্তবেও যে এমন ঘটে তা বোধহয় পুলিশের খাতা দেখলেই বোঝা যায়।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায় তেমনই এক ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। স্থানীয় বান্দ্রি থানায় নববিবাহিতার নামে লুঠের অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্বশুরমশাই। এমনকী এর আগেও রাজস্থানের এক যুবককে বিবাহ করে একই ভাবে প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে ওই কনের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, বিয়ের চার দিনের মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে নগদ সাত লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে নববধূ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর জেলার বান্দ্রি এলাকার বাসিন্দা কমল জৈন তাঁর ছেলে আভিরাল জৈনের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন আহমেদনগরে বাসিন্দা মনোজ শর্মার মেয়ের। দিন কয়েক আগেই ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করেছিল দুই পক্ষ। শ্বশুরবাড়ি এসেছিল নববধূ। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পাননি কী হতে চলেছে এরপরে।
অভিযোগ, বিয়ের মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি থেকে চম্পট দেয় বধূ। কমল জৈনের দাবি, বিয়ের চারদিন পর বধূ জানায় কোনও একটি জরুরি কাগজ দিতে তাঁকে বাপের বাড়ি যেতে হবে। এবিষয়ে আর বিশেষ কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন মনে করেননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেসময় ওই যুবতী শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু তারপর থেকে আর তার কোনও খোঁজ নেই। মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সেই ফোন বন্ধ ছিল। বাপের বাড়িতে যোগাযোগ করলে জানা যায়, সে বাপেরবাড়িও যায়নি। শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ই ওই যুবতী নগদ সাত লক্ষ টাকা এবং গয়না নিয়ে বেরোয়।
পরে একবার অবশ্য সে ফোন ধরে কথা বলে বলে কমল জৈনের দাবি। তিনি জানিয়েছেন সেই সময় বধূ তাঁদের জানায়, সে আর শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চায় না। তারপরেই এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কমল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি তদন্ত শুরু করেছে। কমল জৈনের দাবি, ওই যুবতী এর আগেও রাজস্থানের এক যুবককে বিয়ে করে এবং একই ভাবে বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যে টাকা ও গয়না হাতিয়ে চম্পট দেয়।