২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০১:২৪:২২ পূর্বাহ্ন


বগুড়ার ঐতিহ্যময় বউমেলায় নেমেছে মহিলাদের ঢল
বগুড়া প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৪-২০২৩
বগুড়ার ঐতিহ্যময় বউমেলায় নেমেছে মহিলাদের ঢল বগুড়ার ঐতিহ্যময় বউমেলায় নেমেছে মহিলাদের ঢল


বগুড়ার বউমেলা হল মহিলাদের একান্ত নিজস্ব একটি মেলা। এই মেলার বৈশিষ্ট্য হল মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই মহিলা। কোনও পুরুষ আসতে পারে না এই মেলায়। বিগত কয়েক যুগ ধরে মহিলাদের জন্য মেলাটির আয়োজন হয়ে আসছে।

প্রতিবছর বারুনী মেলা শেষে এই 'বউ মেলা' অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বগুড়ার শেরপুরে।

নিয়ম মেনে এবারও শেরপুরে গাড়ীদহ নামক স্থানে করতোয়া নদীর পশ্চিম কোল ঘেঁষে এই মেলা বসেছে। তাই বিভিন্ন বয়সী মহিলারা প্রাণভরে মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিনছেন প্রসাধনীসহ নানা পণ্য সামগ্রী। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই মেলা।

জানা যায়, প্রতি বছর বিশাল মাঠজুড়ে মেলা বসে। মেলায় স্থান পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। এক পাশে চলছে নাগরদোলা খেলা। নারীরা দলবেঁধে আবার এলোমেলোভাবে দোকানে দোকানে ঘুরছেন। জিনিসপত্র পছন্দ করছেন। দরদাম করে পছন্দের জিনিসটি কিনছেন। আবার অনেকেই ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নানা ধরনের তেলেভাজার দোকানে যাচ্ছেন। সন্তানদের আবদার পুরনে সেগুলো দোকানে বসে বা পাশে দাঁড়িয়ে অনেককে খেতেও দেখা গেছে।

কেউ বা আবার সন্তানদের জন্য নানা ধরনের খেলনা কিনছেন। বাদ যাচ্ছে না মিষ্টি কেনা।

স্থানীয় মেলা কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমে জানায়, প্রত্যেক বছর চৈত্রের বারুনী তিথির দ্বিতীয়দিনে এখানে বউ মেলার আয়োজন করা হয়। তবে এবার তিথি অনুযায়ী মেলা হয়নি। রোজার কারণে সেটি করা সম্ভব হয়নি। তাই রোজার ইদের পরপরই বৈশাখে মাসে এসে ঐতিহ্যবাহী মেলাটি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বউ মেলায় এসে বিভিন্ন বয়সী মহিলারা এসে নানা ধরনের জিনিসপত্র কিনেছেন। এছাড়া এবার মেলা জাকজমকভাবে হওয়ায় সময়সীমা আরও দুই-একদিন বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।

এই মেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। মেলা ঘিরে এই অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে বিরাজ করে উত্‍সবের আমেজ। স্বজনদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো গাড়ীদহ গ্রাম ও আশেপাশের এলাকা।

তবে কবে থেকে এখানে স্নানোত্‍সব ও মেলা হয়ে আসছে তা সঠিক করে বলা মুশকিল বলে জানান মেলা উদ্যোক্তারা। তবে তাঁদের মতে, অনুষ্ঠানটি যে শতবর্ষী তা বলাই চলে। আর এখানে কয়েক যুগ ধরে বউমেলা হয়ে আসছে বলেও জানান তাঁরা।