২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন


ধর্ষণের অভিযোগে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৪-২০২৩
ধর্ষণের অভিযোগে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ফাইল ফটো


নওগাঁর রাণীনগরে দুই সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার একডালা ইউনিয়নের উজালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, গত বুধবার (৫ এপ্রিল) দুই সন্তানকে নিয়ে মসজিদে তারাবির নামায পড়তে যান। সেদিন বিদ্যুৎ চলে গেলে একই গ্রামের জামাল উদ্দিন মোল্লা (ভুক্তভোগীর সম্পর্কে চাচা শ্বশুর) ঘরে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের মাতবর আনিছুর রহমান, নজরুল ইসলাম ও আব্দুল মালেক বিষয়টি মিটমাট করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। পরবর্তীতে তাদের কাছে গেলে জামাল পলাতক রয়েছে, খুঁজে বের করে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি বলে টালবাহানা করতে থাকে। বার বার ওই মাতবররা মিটমাট করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে থানায় যেতে দেয়নি। অবশেষে ন্যায্য বিচারের আশায় গোপনে আদালতে গিয়ে সোমবার (১০ এপ্রিল) মামলা করেছেন। 

ভুক্তভোগী জানান, তার স্বামী দুই সন্তানকে নিয়ে মসজিদে গেলে চাচা শ্বশুর জামাল ঘরে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গ্রামের মাতবররা বিচার করে দিবে বলে থানায় যেতে দেয়নি এবং কারও কাছে কথা বলতেও দেয়নি। মাতবরদের বিচার করে দেওয়ার নামে তালবাহানা বুঝতে পেরে গোপনে আদালতে মামলা করেছেন।

মাতবর আনিছুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার অত্যন্ত গরীব। তাই আমরা চেষ্টা করেছি একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করে দিতে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন পলাতক থাকায় তা সমাধান করা যায়নি। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান স্বপন বলেন, মাতবররা খুবই খারাপ। কোন কিছু ঘটলে তারা সেটা সমাধান করে। কাউকে কিছু জানায় না। এই ঘটনার পর ওই মাতবররা ভুক্তভোগী পরিবারকে তার কাছেও আসতে দেয়নি। কাউকে বলতেও দেয়নি। তাই ভুক্তভোগী পরিবারকে সঠিক পরামর্শ দেওয়া সম্ভব হয়নি।  

রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এত বড় একটি ঘটনার কথা মেম্বার, চেয়ারম্যানসহ এলাকার কেউ তাকে জানায়নি। মামলার তদন্ত যদি থানায় ন্যস্ত করা হয় তাহলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ভুক্তভোগী পরিবারকে ন্যায্য বিচার দেওয়া হবে।