২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:০৪:২০ অপরাহ্ন


সুনামগঞ্জে মিথ্যা এসিড মামলা থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক মোজাম্মেল
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৩-২০২৩
সুনামগঞ্জে মিথ্যা এসিড মামলা থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক মোজাম্মেল সুনামগঞ্জে মিথ্যা এসিড মামলা থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক মোজাম্মেল


সুনামগঞ্জে সাজানো মিথ্যা এসিড মামলা থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া। 

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে জেলা ও অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এই রায় প্রদান করেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে- সীমান্ত চোরাচালান, চাঁদাবাজি ও জুয়ার বোর্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ২০১২ সালে ৫ জানুয়ারী মাইটিভি ও দৈনিক মানবকণ্ঠের সাবেক সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার ওপর হামলা চালিয়ে নগদ টাকা,স্বর্ণের চেইনসহ ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার হাবিব সারোয়ার আজাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে নির্যাতিত সাংবাদিক মোজাম্মেল ন্যায় বিচারের আশায় চোরাকারবারীদের গডফাদার হাবিব সারোয়ার আজাদ ও তার বাহিনীর বিরোদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তৎকালীন তাহিরপুর থানার এসআই জামাল উদ্দিনের সার্বিক সহযোগীতায় হাবিব সারোয়ার আজাদ তার নিজের ছেলে শিহাব সারোয়ার শিপুকে গত ২০১৪ সালের ২৯ মার্চ রাত অনুমান ৮টার সময় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে আহত করে। পরে এঘটনার পেক্ষিতে নিরপরাধ সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে থানায় এসিড মামলা দায়ের করে আজাদ। এবং অগ্নিদগ্ধ শিপুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করে। এরপর হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের মেডিকেল অফিসার আফসার উদ্দিন দগ্ধ শিপুর চিকিৎসা করেন। সেই সাথে আদালতে এসে ওই চিকিৎসক স্বাক্ষি দেন এই ঘটনাটি এসিডের ঘটনা নয়। আহত শিপু আগুন জাতীয় পদার্থ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। তার মুখে এসিডের কোন জখম নেই। এছাড়াও এই মামলায় ২২জন আদালতে এসে স্বাক্ষি দিয়েছে। কিন্তু কোন স্বাক্ষি সাংবাদিক মোজাম্মেলকে এই ঘটনা গঠাতে দেখিনি এবং জড়িত মর্মে স্বাক্ষি দেয়নি। এমতাবস্থায় আদালতে বিজ্ঞ বিচারক দীর্ঘ ৯বছর এই মামলাটি মনোযোগ সহকারে বিশ্লেষন করে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াকে বেখসুর খালাস প্রদান করেন।

উক্ত মামলাটি সাংবাদিক মোজাম্মেলের পক্ষে পরিচালনা করেন এডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান। এবং বিভিন্ন সময় তাকে সহযোগীতা করেছেন সিনিনিয় আইনজীবি হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, পীর মতিউর রহমান, শফিকুল ইসলাম শেপুসহ আরো একাধিক আইনজীবি।

এব্যাপারে এডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান বলেন- এই মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ সাজোনো একটি মামলা। মামলা-মোকদ্দমা ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে হাবিব সারোয়ার আজাদ তার নিজের ছেলেকে আগুনে পুড়িয়ে নিরপরাধ সাংবাদিক মোজাম্মেলকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসিয়েছিল। স্বাক্ষি-প্রমাণ দ্বারা আমরা তা প্রমাণ করতে পেরেছি। দীর্ঘ সাধনার পর মহান আল্লাহর রহমতে সাংবাদিক মোজাম্মেল ন্যায় বিচার পেয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্টিত হয়েছে। এজন্য আমরা আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের প্রতি সন্তুষ্ট ও কৃতজ্ঞ।