জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পঁচা আলু দিয়ে চিপস্ তৈরি হচ্ছে। উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের চকরঘুনাথ গ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এসকল চিপস্। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রমিক হিসাবে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে চিপস্। পঁচা আলু দিয়ে চিপস্ গুলো তৈরি করছেন চকরঘুনাথ গ্রামের আলতাব হোসেন সোনারের ছেলে ব্যবসায়ী আনোয়ারুল হক স্বপন। এসকল বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির আহব্বান জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন মহল।
বুধবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হাফিজার রহমান ডিলার নামের এক ব্যক্তির চাতালে দূর্গন্ধযুক্ত পঁচা আলু দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে চিপস্। পঁচা দূর্গন্ধযুক্ত আলু পরিষ্কার করা হচ্ছে পাশের এক ডোবার নোংরা পানি দিয়ে। এই কাজের তদারকি করছেন ব্যবসায়ী আনোয়ারুল হক স্বপন নিজেই।
এসকল কাজ করা কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২৫ টাকা প্লাস্টিকের ক্যারেট চুক্তিতে তারা এসকল কাজ করছে। তারা ৬ষ্ঠ, ৮ম, ৯ম ও এইচ.এস.সি পড়ুয়া ছাত্র। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত আয়ের উদ্দেশ্যে এই কাজ করছে তারা।
ব্যবসায়ী আনোয়ারুল হক স্বপন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এসকল পঁচা আলু দিয়ে চিপস্ তৈরি করে আমি ভুল করেছি। এই আলু গুলো বৃষ্টির আগে কেনা হয়েছে সম্প্রতি আলুতে পঁচন শুরু হওয়াই যেটুকু ভাল পাওয়া যায় তা দিয়েই কাজ করছি’।
স্থানীয় বাসিন্দা ও চাতাল মালিক হাফিজার রহমান ডিলার বলেন, ‘পঁচা আলু দিয়ে চিপস্ তৈরির বিষয়টি আমি লক্ষ্য করিনি। এটি খুব খারাপ একটি কাজ। ব্যবসায়ী আনোয়ারুল হক স্বপনের সাথে কথা বলে পঁচা আলু দিয়ে চিপস্ তৈরি বন্ধ করে দেওয়া হবে’।
আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল আমিন সরকার বলেন, ‘পচা আলু থেকে তৈরিকৃত চিপস্ খেলে ফুড পয়জনিং, ডায়রিয়া, বদ হজম, আমাশয় ও বমি হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও পঁচা আলুতে থাকা বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া কিডনি পর্যন্ত নষ্ট করতে পারে’।
রাজশাহীর সময় / এফ কে