জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় দুইবার সাপের কামড়ে এক কলেজছাত্র আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) রাত ১২টার দিকে উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের মাঝিয়াস্থল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সাপে কাটা অবস্থায় সাপ নিয়েই জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছেন ওই কলেজছাত্র। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
সাপে কাটা ওই ছাত্রের নাম মোহন মণ্ডল (২১)। তিনি মাঝিয়াস্থল গ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে। তিনি বগুড়ার শাহ সুলতান কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
কলেজছাত্র মোহন মণ্ডল বলেন, রাতে ঘরে শুয়ে ছিলাম। ঘরের লাইট বন্ধ করে মোবাইলে নাটক দেখছিলাম। এ সময় রাত ১২টার পর পিঠের নিচে কী যেন কামড় দেয়। পরে আলো জ্বালিয়ে কিছু দেখতে পাইনি। এরপর আবার শুয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পর হাত পেঁচিয়ে ধরে আবার কামড় দেয়। তখন বুঝতে পারি সেটি সাপ। তবে কী সাপ তা চিনতে পারিনি। অনেকেই অনেক সাপের নাম বলছে।
তিনি আরও বলেন, তখন আলো জ্বালিয়ে দেখতেই সেটি বালিশের নিচে যায়। এরপর বালিশ উঠিয়ে ঝাড়ু দিয়ে সাপটিকে মেরে পরিবারের লোকজনদের জানাই। বাড়ির লোকজন কবিরাজি চিকিৎসা করায়। পরে সারারাত ভালোই ছিলাম। কিন্তু সকালে শরীর খারাপ লাগে। এরপর মৃত সাপ নিয়ে জয়পুরহাট হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রিলিজ দিয়েছে। অনেকটা সুস্থ আছি, বাড়িতে এসেছি।
জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, সাপে কাটা রোগীকে এন্টিভেনম দিতে হয়নি। সাপটি বিষাক্ত নয়। অনেকেই রাসেলস ভাইপার বললেও সেটি রাসেল ভাইপার নয় বলে আমাদের মনে হয়েছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এবং প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টিভেনম পাওয়া যাবে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. মুহা. রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, সাধারণত বিষাক্ত সাপ কামড়ানোর পর দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে পৌঁছালে এন্টিভেনমে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। কিন্তু সাপে কামড়ানোর পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী ওঝার শরণাপন্ন হন। ফলে অনেক সময় ক্ষেপণ করে হাসপাতালে আসেন। সাপে কামড়ানো মৃত রোগীদের মধ্যে এমন রোগীদের সংখ্যাই বেশি। সেজন্য বিষাক্ত সাপ কামড়ানোর পর দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।