২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৫:৩৭:০৫ অপরাহ্ন


হজমে সাহায্যকারী যেসব খাবার
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০২-২০২৩
হজমে সাহায্যকারী যেসব খাবার ফাইল ফটো


গরমকাল এসে গেছে, সাথে এসেছে মৌসুমি বিভিন্ন ফল, রোজার মাসটাও সামনে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এই সময়ে অনেকেই ভাজাভুজি বিভিন্ন খাবার খেতে হজমের সমস্যায় ভোগেন। নোনতা, মিষ্টি এবং ঝাঁঝালো এসব খাবারের ভিড়ে অনেকেই অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এ কারণে আপনি কী খাচ্ছেন এবং নিজের পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে আসলে কী খেতে হবে এগুলো জেনে রাখা জরুরী।

• জেনে নিন হজমশক্তিকে অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে এমন কিছু খাবারের কথা. . .

১) প্রিবায়োটিক: ইদানিং পেট ঠিক রাখতে প্রোবায়োটিকের গুণগান সর্বত্র। কিন্তু শুধু প্রোবায়োটিক নয়, খাওয়া উচিত প্রিবায়োটিক খাবারগুলোও। প্রিবায়োটিক হলো এমন সব খাদ্য উপাদান যেগুলো হজম হয় না এবং আমাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, প্রিবায়োটিক হলো প্রোবায়োটিকের ফুয়েল।

“প্রিবায়োটিক হলো মূলত ডায়েটারি ফাইবার, কিন্তু এর মাঝে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় দুই ধরণের ফাইবারি থাকা দরকার,” বলেন কীথ আয়ুব, নিউ ইয়র্কের আলবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অফ মেডিসিনের নিউট্রিশনিস্ট এবং ক্লিনিক্যাল প্রফেসর। এ কথার অর্থ হলো ফল, সবজি, শিম, মটরশুঁটি এবং ডাল থেকে আপনাকে দ্রবণীয় ফাইবার গ্রহণ করতে হবে, অন্যদিকে হোল গ্রেইন, বিভিন্ন বীজ, গম ও ভুট্টা থেকে অদ্রবণীয় ফাইবার গ্রহণ করতে হবে। এগুলো আপনার অন্ত্রকে সুস্থ রাখবে। অন্ত্রের সুস্থতার ওপর আপনার রোগ প্রতিরোধ খমতার ৮০ শতাংশই নির্ভরশীল।

২) প্রোবায়োটিক: নিয়মিত প্রিবায়োটিক খেলে আপনার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া, অর্থাৎ প্রোবায়োটিক জন্মাবে। প্রোবায়োটিক ধরণের খাবারগুলো আপনার অন্ত্রে আরও উপকারী ব্যাকটেরিয়া যোগ করে। এর জন্য খেতে পারেন ফারমেন্টেড খাবার, যেমন দই, পনির এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবারে। খেতে হবে প্রতিদিন। তবে কেনা দই খাওয়ার সময়ে এতে অতিরিক্ত চিনি এবং সোডিয়াম আছে কিনা খেয়াল করে নিন।

৩) বেশি করে ফল ও সবজি: ফল ও সবজি বেশি বেশি করে খাওয়াটা অনেক উপকারেই আসে। তার মাঝে একটি হলো পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি। বিভিন্ন ফল ও সবজির খোসায় উপকারী অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। আর ফল ও সবজির ভেতরে থাকে দ্রবণীয় ফাইবার। নরম ফল ও সবজি যেমন কলা ও অ্যাভোকাডো পরিপাকতন্ত্রকে আরাম দেয়। তবে একটু সাবধান থাকুন ফুলকপি ধরণের সবজির ব্যাপারে। এগুলোতে এত বেশি ফাইবার থাকে যে তা ভাঙতে অনেকটা শক্তি খরচ হয়, ফলে পেট ফাঁপা ও অস্বস্তির সৃষ্টি হতে পারে। এগুলো কাঁচা না খেয়ে অন্তত ভাপিয়ে বা একটু ভেজে খাওয়া দরকার।

৪) যথেষ্ট জল পান করুন: হজমে সহায়তার জন্য জলের জুড়ি নেই। খাওয়ার আগে এবং পরে জল পান করাটা হজমের জন্য উপকারী। প্রতিদিন বেশি করে জল পান করুন। হজমের পাশাপাশি তা পুরো শরীরে পুষ্টি উপাদান ছড়িয়ে দেবার জন্যও জরুরী। অনেকেই যথেষ্ট ফাইবার গ্রহণ করেন, কিন্তু এর সাথে জল পান করতে ভুলে যান। এ কারণে দেখা যায় ডিহাইড্রেশন এবং হজমের সমস্যা। জল পান করার পাশাপাশি এমন সব খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর জল থাকে, যেমন শসা, টমেটো এবং তরমুজ।