২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৫১:৫০ অপরাহ্ন


মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০১-২০২৩
মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ফাইল ফটো


মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় ও শেষ দিন রোববার (২২ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১২টার দিকে শুরু হয় মোনাজাত। প্রায় ২৫ মিনিট সময় নিয়ে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী।

মোনাজাতের শুরুতে আল্লাহ তায়ালার দরবারে মানুষের হেদায়েত কামনা করা হয়। দুনিয়ার মানুষের সুখ, শান্তি, উন্নতি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়। পরকালে মুক্তি পেতে এবং দুনিয়াতে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখ লাখ মুসল্লি চোখের পানি আর হৃদয়ের আকুতিতে মেলে ধরেন তাদের সব আবদার।

মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভীর সঙ্গে দুই হাত তুলে লাখো মুসল্লির ‘আমিন’, ‘আমিন’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে টঙ্গী এলাকা। ইজতেমার মাঠ ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো মাইকে সেই ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে তুরাগ নদের চারপাশের এলাকায়। টঙ্গীর আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হতে থাকে লাখো কণ্ঠের কান্নার ধ্বনি।

‘আল্লাহর দরবার থেকে কেউ খালি হাতে ফেরে না’ - তাই চাওয়াগুলো পূর্ণ করতে সব আকুতি দিয়ে দুহাত মেলে ধরেন নানা বয়সী ও পেশার মানুষ। এমনকি নারীরাও ভিড় ঠেলে মোনাজাতে অংশ নিয়ে আল্লাহর দরবারে মনের আকুতি জানিয়ে কেঁদে বুক ভাসান।

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে মুসল্লিতে ঠাসা ছিল মাঠ। কোথাও তিল ধারণের মতো জায়গা ছিল না। ফলে মাঠের বাইরের সড়কে যে যেখানে দাঁড়িয়ে বা বসেছিলেন সেখান থেকে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। ১৬০ একরের ময়দান ছাপিয়ে ‘আমিন’ ‘আমিন’ ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে কামারপাড়া, স্টেশনরোড, টঙ্গী ব্রিজ, বেড়ি বাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায়।

অন্যদিকে যারা সরাসরি অংশ নিতে পারেননি তারা মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে।

এর আগে, ফজরের পরই গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বয়ান শুরু করেন ভারতের মাওলানা মুরসালিন। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফ আলী। সকাল ৯টায় মাওলানা মোশারফ হোসেন তালিম করেন। সাড়ে ৯টায় ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বি দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী হেদায়েতি বয়ান শুরু করেন। এরপর বেলা সোয়া ১২টার পর মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ করেন ইজতেমার এবারের পর্ব।

ঐক্যের সুশীতল ছায়ায় সামনের বছর আবারও জমবে মুসলিম উম্মাহর এ মিলনমেলা - এমন বাসনা রেখে শেষ হলো এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।