অজ্ঞাতপরিচয় ৩ দুষ্কৃতীর হাতে খুন হলেন ৩৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক সম্মানরক্ষার্থে যুবকের শ্বশুর ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করেছেন নিজের জামাইকে।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের বগলকোট জেলার তাক্কড় গ্রামে । মৃতের নাম ভুজবলী কারজাগি। তিনি জৈন সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ভাগ্যশ্রী নামে এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। দুজনেই একই গ্রামের বাসিন্দা। ভাগ্যশ্রী তথাকথিত উচ্চবর্ণ ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ভুক্ত। দুজনের সম্পর্কে একেবারেই সম্মতি ছিল না তরুণীর পরিবারের লোকজনের। ফলে বছরখানেক আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নেন ভাগ্যশ্রী এবং ভুজবলী। তারপর তাঁরা ফের গ্রামে ফিরে এসে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
কিন্তু জামাইকে একেবারেই মেনে নেননি তরুণীর বাবা। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ের বিয়ের খবর পাওয়ার পর থেকেই জামাইকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছিলেন তিনি। সেই কারণেই তিনজন সুপারি কিলারকে ভাড়া করেন তিনি। রবিবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে এলাকার একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন ভুজবলী। সেখান থেকে ফেরার সময়েই তিনজন ভাড়াটে খুনি ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপর। প্রথমে ভুজবলীর মুখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে দেয় তারা। তারপর একটি ছুরি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে তারা।
ঘটনায় ভাগ্যশ্রীর বাবা তাম্মেগওড়া এবং তিনজন সুপারি কিলারের নামে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা।