চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের এক প্রশিক্ষনার্থীর সম্মানী ভাতার অর্থ আত্নসাতের আত্মসাৎ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পংকজ কুমার দাসের দূর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন গোমস্তাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা খাতুন।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুনকে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই জনপ্রতিনিধি।
ঘটনার শিকার ওই জনপ্রতিনিধি জানান, উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়নের দুর্লভপুরপাড়ার আজিজুল হকের মেয়ে তৃনা হক এ্যাম্ব্রডায়ারি ট্রেডে জুলাই - সেপ্টেম্বর সেশনে ৩ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষনের মধ্যে মাত্র ৩ দিন প্রশিক্ষণ নেন। কিন্তু তাকে সার্টিফিকেট দেয়া হলেও, তার তিন দিনের সম্মানী ভাতা দেয়া হয়নি। এ নিয়ে সে তাকে অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পংকজ কুমার দাসের কাছে জানতে চাইলে কথাবার্তার এক পর্যায়ে ওই কর্মকর্তা অনেক উত্তেজিত হয়ে তার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন এবং তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে তিনি বিষয়টি অবহিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পংকজ কুমার জানান, শুরুতেই ওই প্রশিনার্থী প্রশিক্ষণ ছেড়ে দেয়ায় তার সার্টিফিকেট ও ভাতা পাওয়ার কথা না। তারপরও আমার অগোচরে তাকে অফিস কর্মচারীরা সনদপত্র দিয়ে দিয়েছে। তিনি প্রশিক্ষনার্থীর ভাতা আত্বসাত ও জনপ্রতিনিধির সাথে তার দুর্ব্যবহারে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা খাতুন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই জনপ্রতিনিধির একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।