বগুড়ার জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির নেতা-কর্মীদের ওপর পদবঞ্চিতরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সাত জন আহত হন। সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে নবগঠিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সাব্বির, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক নূর আলম এবং আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রিমন রহমানও রয়েছেন।
ছাত্রলীগের নবগঠিত বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান বলেন, রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনে যান। নেতা-কর্মীদের বাইরে রেখে ভেতরে অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে কথা বলার সময় আমাদের কমিটি বাতিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের সভাপতি তৌহিদুর রহমান এবং ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে ১৬ জন লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকে। তারা অধ্যক্ষের বাসভবনের বাইরে অপেক্ষমান নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে আমাদের সাত থেকে আট জন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির পক্ষে একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহজাহান আলী জানান, তার বাসভবনের বাইরে বহিরাগতরা এসে গোলমাল করেছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন। তিনি বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমি পুলিশকে খবর দিই।
জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজার রহমান জানান, আমরা বিএনপি জামাতের নাশকতা এবং ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের ক্যাম্পাস দখল করার খবরে কলেজে গেলে নবগঠিত ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করলে আমার তা প্রতিহত করি।
তিনি বলেন, হামলাকারীদের হাতে বিভিন্ন অস্ত্র ছিল।
ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজার রহমান বলেন, আমরা ক’দিন আগে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও শিবিরকে ধাওয়া করেছিলাম। শনিবার রাতে আমরা খবর পাই যে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়া ছাত্রদল ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা প্রতিশোধ নিতে ক্যাম্পাসে এসেছে। তখন আমরা তাদের প্রতিহত করতে গেলে আমাদের ওপর ২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়।
বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কলেজে পুলিশ পাঠানো হয়। তার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে অন্য নেতা-কর্মীদেরকে কলেজ থেকে বের করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে হামলা নিয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে কাঙ্খিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে ওই দিন থেকেই আন্দোলন করে আসছে।