কবরে মৃত ব্যক্তিকে দাফনের কতক্ষণ পর ফেরেশতারা প্রশ্ন করা শুরু করেন? এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী বলেছেন?
মৃত ব্যক্তিকে গোসল কাফন জানাজার কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে করা হয়। জানাজা শেষ হলে মৃত ব্যক্তিকে কবরে দাফন করা হয়। দাফনকার্য সম্পন্ন হওয়ার পর পরই মৃত ব্যক্তির রূহ দেহে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। রূহ দেহে ফিরে এলেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত ওসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন-
كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا فَرَغَ مِنْ دَفْنِ الْمَيِّتِ وَقَفَ عَلَيْهِ فَقَالَ: اسْتَغْفِرُوا لأَخِيكُمْ وَسَلُوا لَهُ التَّثْبِيتَ فَإِنَّهُ الآنَ يُسْأَلُ
মৃতের দাফন শেষ করে সেখানে দাঁড়িয়ে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং সে যেন প্রতিষ্ঠিত থাকে সেজন্য দোয়া করো। কেননা তাকে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ (আবু দাউদ ৩২২১)
অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বান্দাকে (মৃত ব্যক্তিকে) যখন তার কবরে রাখা হবে এবং (দাফনের পর) তার সাথীরা সবাই চলে যায়, তখন সে তাদের জুতা-স্যান্ডেলের শব্দ শুনতে পায়। এরপর তার কাছে দু’জন ফেরেশতা আসবেন এবং তাকে বসিয়ে বলবেন, ‘এ মানুষটি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে (দুনিয়াতে) কি বলতে? তখন সে (মুমিন হলে) বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল। এরপর তাকে বলা হবে, দেখ জাহান্নামের সে স্থানটি যার পরিবর্তে আল্লাহ তাআলা তোমাকে বেহেশতের স্থান প্রদান করেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তখন সে উভয় স্থান অবলোকন করবে। আর কাফের বা মুনাফেক (প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বনবি সম্পর্কে) বলবে, ‘জানি না, মানুষেরা যা বলতো তাই বলতাম। তখন তাকে বলা হবে, তুমি জাননি এবং পড়নি। এরপর তার দু’কানের মাঝে লোহার হাতুড়ি দ্বারা প্রহার করা হবে। আর সে (তখন) এমনভাবে চিৎকার করবে, যা মানুষ ও জ্বিন ছাড়া তার পার্শ্ববর্তী সবাই (জীব-জন্তু ও পশু-পাখি) শুনতে পাবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)