সকালের নাস্তাতে আমরা নানারকম খাবারই খাই। তবে একটি খাবার প্রায় সবাই খেতে পছন্দ করেন। আর সেটি হল ডিম। নাস্তা যেমনই হোক, অনেকেরই সকালে একটি ডিম না হলে চলে না। একেকদিন নাস্তায় ডিমের একেকরকম রেসিপি অনেকেই ভালোবাসেন। কেউ পছন্দ করেন সেদ্ধ ডিম, আবার কারও ডিমের অমলেট পছন্দ। কেউ আবার আদসেদ্ধ ডিম বা ডিমের পোচ দিয়ে জলখাবার খান। মোট কথা,ডিম থাকলে সকালের জলখাবারের আলাদাই স্বাদ।
ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। একদিকে এতে যেমন রয়েছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ। তেমনই ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি সিক্স ও প্রোটিনের মতো জরুরি কিছু পুষ্টি উপাদানের উৎস হল ডিম।
তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, সকালের নাস্তায় আয়রন থাকাও জরুরি। আয়রন পেশিতে অক্সিজেন জোগাতে সাহায্য করে। এতে শরীর চাঙ্গা থাকে। সারাদিন কাজ করার জন্য অনেকটা শক্তি পাওয়া যায়। অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি আয়রন ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখে। ডিমের সঙ্গে সকালে তাই আয়রন সমৃদ্ধ একটি খাবার থাকা দরকার।
পালং অমলেট তেমনই একটি খাবার। আমাদের রোজকার জলখাবারে পালং শাক থাকে না। ফলে একটু খটকা লাগতে পারে। কিন্তু অনেকেই পুষ্টিগুণের জন্য এই খাবারটি প্রায়ই নাস্তায় খান। প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার জন্য চিকিৎসকরা অ্যানিমিয়ায় আক্রান্তদের পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
পালং অমলেট তৈরির জন্য প্রথমে শাক ধুয়ে জল ঝেড়ে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। এরপর পাতলা করে রসুন কেটে নিতে হবে। আরেকটি পাত্রে একটি ডিম ফাটিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ দুধ দিতে হবে। এরপর এক চিমটে লবণ দিয়ে ভালো করে ফেটে নিতে হবে।
এবার ফ্রাইং প্যান হালকা আঁচে পালং শাক কুচি, রসুন কুচি ও সামান্য লবণ দিয়ে নাড়তে হবে। শাকের জল ছেড়ে গেলে আঁচ নিভিয়ে দিন। এরপর মিশ্রণটি নামিয়ে নিয়ে প্যানে এক চামচ অলিভ তেল ছড়িয়ে দিন। এবার আঁচ মাঝারি করে তাতে ডিমের মিশ্রণটি ঢেলে দিন। লক্ষ রাখুন ডিমটি যাতে প্যানের সবদিকে সমানভাবে ছড়িয়ে যায়। এবারে পালং শাকের মিশ্রণটি ঢেলে দুদিক ভালো করে ভেজে নিলেই তৈরি পালং শাকের অমলেট।
সকালের নাস্তায় এই অভিনব রেসিপিটি খাইয়ে চমকে দিতে পারেন প্রিয়জনদের।