২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৭:৫০:৪৫ অপরাহ্ন


জুমায় মসজিদে যাওয়ার সওয়াব কী?
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১১-২০২২
জুমায় মসজিদে যাওয়ার সওয়াব কী? ফাইল ফটো


আল্লাহর প্রিয় ইবাদাত নামাজ। জুমার নামাজের মর্যাদা ও সম্মান আরও বেশি। কেননা সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হচ্ছে জুমা। এ দিনে আল্লাহ তাআলা মানুষকে অনেক নেয়ামত দান করেছেন। এ দিনের ইবাদতের মর্যাদার সওয়াব অনেক বেশি। কী সেই সব সওয়াব?

আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য মর্যাদা সম্পন্ন নামাজ জুমা দান করেছেন। যারা এ দিন আগে ভাগে মসজিদে আসবে তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ সওয়াব। হাদিসের বর্ণনা থেকে তা সুস্পষ্ট। তাহলো-

১. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবতের গোসল মতো গোসল করলো। এরপর (সবার আগে) মসজিদে গেল, সে যেন একটি উট কোরবানি করলো। আর যে দ্বিতীয় মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি গরু কোরবানি করলো। আর যে তৃতীয় মুহূর্তে গেলে, সে যেন একটি শিংওয়ালা দুম্বা কোরবানি করলো। আর যে চতুর্থ মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি মুরগি কোরবানি করলো। আর যে পঞ্চম মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি ডিম কোরবানি করলো। এরপর ইমাম যখন (খুতবা দেওয়ার জন্য) বের হয়ে আসেন তখন ফেরেশতাগণ (আমলের সওয়াব লেখা বন্ধ রেখে ইমামের খুতবা) জিকির শুনতে থাকেন। (বুখারি, মুসলিম)

২. হজরত আওস ইবনে আওস শাকাফি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন তার স্ত্রীকে গোসল করালো ও নিজে গোসল করলো। এরপর অন্যকে (মসজিদে যেতে) জলদি তাগিদ দিল এবং নিজেও সকাল সকাল পায়ে হেঁটে মসজিদে গেল এবং ইমামের কাছে বসলো ও কোনো অনর্থক কাজ না করে ইমামের খুতবা শুনলো। তার প্রতিটি চলার পদক্ষেপের সওয়াব হবে এক বছরের রোজা ও তাহাজ্জুদের সম্মিলিত সমান নেকি বরাবর সমান।’ (আবু দাউদ)

আল্লাহ তাআলা যথা সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে নামাজের জন্য যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।