২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৫:১৭:৩৩ অপরাহ্ন


মুহাম্মাদ (সা.) এর আগমন মুমিনদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ
ধর্ম ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১১-২০২২
মুহাম্মাদ (সা.) এর আগমন মুমিনদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ ফাইল ফটো


আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত করে পাঠিয়েছি।’ এমন ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ। অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আরও বলেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাঠিয়ে বিশ্ববাসীর প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

لَقَدۡ مَنَّ اللّٰهُ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اِذۡ بَعَثَ فِیۡهِمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡ اَنۡفُسِهِمۡ یَتۡلُوۡا عَلَیۡهِمۡ اٰیٰتِهٖ وَ یُزَکِّیۡهِمۡ وَ یُعَلِّمُهُمُ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ ۚ وَ اِنۡ کَانُوۡا مِنۡ قَبۡلُ لَفِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ

‘আল্লাহ অবশ্যই মুমিনদের প্রতি তাদের নিজেদের মধ্যে থেকে রাসুল প্রেরণ করে অনুগ্রহ করেছেন। সে (নবি) তার আয়াতগুলি তাদের কাছে আবৃত্তি করে তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে এবং তাদেরকে গ্রন্থ ও প্রজ্ঞা শিক্ষা দেয়। আর অবশ্যই তারা পূর্বে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে ছিল।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৬৪)


আয়াতের সারসংক্ষেপ

প্রকৃত পক্ষে মহান আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের প্রতি বড়ই অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদেরই মধ্য থেকে এমন একজন মহান নবি পাঠিয়েছেন। যাতে তিনি তাদের আল্লাহর আয়াত (ও আহকাম) সমূহ পাঠ করে শোনান। আর বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ পংকিলতা থেকে তাদের পরিচ্ছন্ন করতে থাকেন। আর তাদের আল্লাহর কিতাব ও জ্ঞানের কথা স্মরণ করে দিতে থাকেন। মূলত বিশ্বাসের দিক থেকে এরা তাঁর আবির্ভাবের আগে থেকে পরিষ্কার ভ্রান্তি অর্থাৎ শিরক ও কুফরের মধ্যে লিপ্ত ছিল।’ (মারেফুল কোরআন)

আল্লাহ তাআলা এরকম একটি আয়াত সুরা বাকারায় নাজিল করেন। এ আয়াতে একটি শব্দ বাড়িয়ে মহান রব বলেন, ‘রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে পাঠিয়ে মুমিনদের প্রতি এক বিরাট অনুগ্রহ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে প্রথম লক্ষণীয়  বিষয় হলো এই যে, কোরআনুল কারিমের বিশ্লেষণ অনুযায়ী নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন, সমগ্র বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত ও মহা অনুগ্রহ। কিন্তু এখানে এ আয়াতে শুধু মুমিনদের জন্য নির্দিষ্ট করাটা কোরআনের অন্যান্য আয়াতের মধ্যমে কোরআন সমগ্র বিশ্বের জন্য হেদায়েত হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত থাকা সত্ত্বেও هُدًى لِلْمُتَّقِينَ  বলারই অনুরূপ যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাকে মুত্তাকিদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

তার কারণ, উভয় ক্ষেত্রেই এক। তা হল এই যে, যদিও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অস্তিত্ব মুমিন-কাফের নির্বিশেষে সমগ্র বিশ্বের জন্যই মহা নেয়ামত এবং বিরাট অনুগ্রহ, তেমনিভাবে কোরআনুল কারিমও সমগ্র বিশ্ব-মানবের জন্য হেদায়াত, কিন্তু যেহেতু এই হেদায়াত ও নেয়ামতের ফল শুধু মুমিন-মুত্তাকিরাই উপভোগ করছে, সেহেতু কোনো কোনো স্থানে একে তাদেরই সাথে সম্পূক্ত করে বর্ণনা করা হয়েছে।