নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে মুখোমুখি বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে নির্বাচন। বিএনপির দাবি, সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল।
দুদলের এমন অবস্থানের কারণে সামনের দিনে রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের কথা বলছেন অনেকেই।
বিএনপি নেতারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের পদত্যাগ ছাড়া এ বিষয়ে কোনো আলোচনার সুযোগ নেই। চলমান আন্দোলনে সরকারবিরোধী সব দল অংশ নেবে বলেও মনে করেন দলটির নেতারা।
তারা বলছেন, সংস্কার করে হলেও তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে সরকারকে। অন্যথায় চলবে আন্দোলন।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান টুকু বলেন, কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) মেনে নিয়ে যে কোনো আলোচনায় বসতে হবে। আইন তো ছিল, সেটা বহাল করলেও হয়ে যাবে। ওইখানে (আইনে) যদি কিছু পরিবর্তন করতে হয় সেটাও করা যাবে।
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল সবাই চায় দেশে একটা পরিবর্তন হোক।
সরকারের পদত্যাগ ছাড়া আলোচনার কিছু নেই বলেও মনে করেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। এটা অবৈধ, অনির্বাচিত ও দখলদার সরকার। তাদের একদিনও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় তারা। দাবি মানা না হলে আগামী নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে দলটি।