দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিকাল ইলিউশন সৃষ্টিকারী ছবি যে শুধু মাত্র মস্তিষ্কের ধার পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়, তা-ই নয়। বরং অনেক সময় মানুষের চরিত্রের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ইঙ্গিতও তা দিতে পারে। একটি ছবিতে কোনও মানুষ ঠিক কী দেখছেন তার উপর ভিত্তি করে হয়তো বলে দেওয়া যায় তিনি ঠিক কী ভাবছেন তা কেমন ভাবে নিজের জীবন পরিচালনা করতে পারেন ৷
এটি এমনই একটি ছবি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বলে দেওয়া যায় কোনও ব্যক্তি তাঁর প্রেম বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে কতখানি নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন। কতখানি ভণিতাই বা তিনি করে থাকেন!
ইউক্রেনীয় শিল্পী ওলেগ শুপ্লিয়াক এই পরাবাস্তববাদী চিত্রকর্মের জনক। এখানে ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের মুখের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে আরও কিছু জিনিস। কোনও ব্যক্তি এক ঝলক ছবিটি দেখলে প্রথমেই কী দেখছেন তার উপর নির্ভর করে তাঁর ব্যক্তিত্ব গোপন করবার প্রবণতা।
মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন ভাল বা মন্দ মিশিয়ে তাঁর জীবনে পরিবর্তন আসে। সাধারণত প্রেমাস্পদের চোখে নিজেকে আরও একটু আকর্ষণীয় করে তোলবার আশায় মানুষ যা নয়, নিজেকে সেই হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস দেখায়। যেমন কোনও বইপ্রেমীর প্রেমে পড়লে বইয়ের প্রতি মুগ্ধতা দেখানোর ভান করেন অনেকে। কোনও গায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক হলে গানের প্রতি ভালবাসা দেখানোর প্রচেষ্টা থাকতে পারে।
ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের মুখ:
যদি কোনও ব্যক্তি এই অপটিক্যাল ইলিউশনে প্রথমেই ভ্যান গঘের মুখ প্রথম দেখতে পান, তা হলে বুঝতে হবে তিনি নিজেকে অপ্রতিরোধ্য আবেগে আবদ্ধ হিসেবে দেখাতে পছন্দ করেন। তবে সাবধান, অতিরিক্ত আবেগ প্রবণতা সঙ্গীকে দূরেও ঠেলে দিতে পারে।
এক মহিলা হেঁটে চলেছেন:
যদি কেউ প্রথমেই নীল গাউন ও হ্যাট পরা মহিলাকে দেখতে পান তা হলে ধরে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তি নিজের সম্পর্ক এবং প্রেম জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার ভান করে থাকেন। হয় তো সত্যিই ওই ব্যক্তি উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন, হয় তো তিনি বিশ্বাস করেন উদ্বেগের কারণ রয়েছে। এর পিছনে কোনও অতীত ইতিহাসও থাকতে পারে।
দূরবর্তী কুটির:
যাঁরা প্রথমেই দূরবর্তী কয়েকটি কুটির দেখতে পান, তাঁরা খুবই রক্ষণশীল হওয়ার ভান করে থাকেন সাধারণত। প্রতিবার প্রেমে পড়ার সময়ই তাঁরা বোঝাতে চান তাঁরা সংসার করতে চাইছেন।
একেবারে কেন্দ্রে বসে থাকা ব্যক্তি:
এমন ছবি প্রথমবার দেখতে পাওয়া ব্যক্তিরা সঙ্গীর জন্য সব করতে পারেন। সঙ্গী যেমন মানুষ কল্পনা করে, কামনা করেন ঠিক তেমন হয়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করে যান এই ধরনের ব্যক্তিরা।