২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১২:৩১:৫৫ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে সাংবাদিক রাব্বানীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রতারক চক্রের, কিন্তু কেন?
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১০-২০২২
রাজশাহীতে সাংবাদিক রাব্বানীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রতারক চক্রের, কিন্তু কেন? রাজশাহীতে সাংবাদিক রাব্বানীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রতারক চক্রের, কিন্তু কেন?


রাজশাহী থেকে প্রকাশিত অনিয়মিত পত্রিকা দৈনিক উপচার। পত্রিকাটি নিয়মিত বের হয় না। তা রাজশাহীবাসির ও এসবি সদস্যদের জানা। কিন্তু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন এই পত্রিকার কার্ড বানিজ্য বন্ধ নাই। মাদকাশক্ত থেকে শুরু করে মাদক কারবারি চোর, ছিনতাইকারীর কাছে মিলবে উপচারের কার্ড। কার্ড বিক্রি এটা এক ব্যবসা। এর নেপথ্যে রয়েছে ৫ম শ্রেণী পাশ না করা নূরে ইসলাম মিলন। সে এই পত্রিকার শুরুতে ফটো সাংবাদিক হিসেবে প্রবেশ করে ২০১০ সালে। এরপর আজ্ঞাত কারনে প্রমোশন হয়ে পদ পায় ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। বর্তমানে যুগ্ন সম্পাদক। সেই সাথে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমানের কাছে নিয়মিত তেল দিয়ে যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পদ পায়। শুরু হয় রাজশাহী প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে শহরজুড়ে প্রতারনা আর চাঁদাবাজি। চরম অশান্তি আর অস্বস্তির মধ্যে পড়েন সভাপতি সাইদুর রহমান। এরই মধ্যে মিলন সাইদুর রহমানের কাছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেয় মাস্টার পাড়ায় ইজারার শেয়ারের নামে। তবে টাকাটা ফেরত দেয়নি প্রতারক মিলন।  কথায় আছে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। 

যেভাবে গ্রেফতার  মিলন:

২০১৮ সাথে রেলে চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিবগঞ্জের রায়হান নামের যুবকের কাছে কয়েক দফায় ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে চেক ও স্ট্যাম্প দিয়েছিলো মিলন। স্ট্যাম্পে উল্লেখ ছিল ব্যবসার সংক্লান্ত বিষয়ে টাকা ধার দিয়েছে মিলনকে। দির্ঘ দুই বছর ঘুরে পাত্তা না পেয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ আদালতে চেকের পৃথক দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী রায়হান। এতে একটি চেকের মামলায় আদালত কতৃক সাজা হয়। অপর মামলাটির ওয়ারেন্ট হয়। পরে র‌্যাব-৫, কতৃক দুইবার গ্রেফতার হয় নূরে ইসলাম মিলন।

সেই থেকে অকপটে সাংবাদিকরা তাকে প্রতারক মিলন বলেই ডাকে। চেকের মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় মিলনের পরিচয় হয় ফাইসাল নামের এক ব্যংক কর্মকর্তার সাথে। তার সাথে মিশে তার সমস্যা জেনে নতুন ফাঁদ পাতে মিলন। বলে মামলা থেকে বাঁচানোর কথা। সেই অনুযায়ী জেল থেকে ফাইসাল তার বাবাকে ফোন করে মিলনের সাথে সাক্ষাতের জন্য বলেন। মিলন জেল থেকে বেরিয়ে ফায়সালের পিতার সাথে যোগাযোগ করেন এবং ভুয়া দুদক অফিসার পরিচয় দিয়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর জমি উদ্ধার করার করে দেওয়ার কথা বলে উপ-শহর পানির ট্যাংকি এলাকার হেলাল নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মিলন। এই দুই ঘটনায় তাদের দেয়া অভিযোগ ও পরবর্তি মামলায় মিলন ফের র‌্যাব-৫, এর হাতে গ্রেফতার হয়। ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়সালের পিতা সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মিলনকে চিট বল্লেও কম হবে। সে একজন সুপার চিট। এরপর সবাই তাকে বিশেষ করে ভুক্তভোগীরা তাকে সুপার চিট বলেই জানে। তার জামিন করাতে মিলনের মেয়ের বান্ধবী গুলশান নামের এক যুবতীর কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার নেয় তার স্ত্রী মৌ। কিন্তু আজ আবদি টাকা ফেরত দেয়নি। টাকা চাওয়ায় বেচারা গুলশান এখন তাদের শত্রু। ঘনঘন হুমকি দিচ্ছে মিলন ও তার সহযোগীরা। এ নিয়ে আরএমপি পুলিশ কমিশনার মহাদয়ের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেছে গুলশান। প্রতিকার পেতে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি। 

জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে কিছুদিন চুপচাপ থাকে মিলন। কিন্তু দৃশ্যমান আয়ের কোন উৎস নাই। না করে ব্যবসা, না করে চাকরি। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় শহর ও উপজেলাগুলোতে। কিন্তু যানবাহনের তেল, বাড়ি ভাড়া, সংসার খরচ যোগাতে ব্ল্যাক মেইল, প্রতারণা, চিট বাটফারি আর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে চাঁদাবাজি তার আয়ের একমাত্র উৎস। করছেও তাই। মেয়ের ইনগেজমেন্ট করিয়ে জামাইয়ের বাবার কাছে হাতিয়ে নেয় সাড়ে ৩লাখ টাকা। পরে অবশ্য মেয়ের বিয়ে দেবেনা বলে জানিয়েছে। আর টাকার বিষয়েও পাত্তা দিচ্ছেনা, এ নিয়ে ভুক্তভোগী ঘুরছে। 

এরই মধ্যে সে কৌশলে আরিফ নামের এক ব্যক্তির সহযোগীতায় ঢাকা থেকে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বিভাগীয় কমিটি নিয়ে আসে। সেখানে সুপার চিট নুরে ইসলাম মিলন সভাপতি আর অরিফ হয় সাধারন সম্পাদক। কিছুদিন না যেতেই এই সংস্থার নামে শহর জুড়ে ব্যপক চাঁদাবাজি করে মিলন। যার হিসেব পাওয়া গেছে সাধারন সম্পাদক আরিফের কাছে। এই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ হয়। মিলন তাকে ল্যাং মেরে অন্য একজনকে সাধারন সম্পাদক করেছে। 

এদিকে মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী হওয়ার কারনে সংবিধান অনুযায়ী মিলনের রাজশাহী প্রেসক্লাবের পদ খারিজ হয়ে যায়। পদ ফিরে পেতে সাইদুর রহমানকে বারবার অনুরোধ করে ব্যর্থ হয় মিলন।

এরপর মিলন ক্ষুদ্ধ হয়ে টার্গেট করে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমানকে। কৌশলে ম্যানেজ করে সাইদুর রহমানের একান্ত চাকর হানিফকে।

সাইদুর রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী হানিফ তার মোবাইল থেকে গোপনে ৪৯হাজার টাকা চুরি করেছে এবং তার ব্যবসার চারটি ফাইল চুরি করে প্রেস ক্লাব থেকে পালিয়েছে। আর এ সকল ফাইলগুলি রয়েছে বর্তমানে মিলনের কব্জায়। এ ঘটনায় সাইদুর রহমান হানিফকে আসামি করে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় মিলন তাকে আদালত থেকে জামিন করিয়েছে। জামিনে মুক্তি পেয়ে একটি দিনের জন্যও থেমে নেই সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার আর অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ। অথচো ১০ বছর ধরে হানিফের খাওয়া পরাসহ সাড়ে ৬ লাখ টাকা খরচ করে তার বাবার জমির উপর বাড়ি নির্মান করে দিয়েছেন এই সাইদুর রহমান। সাইদুর রহমান বলেন, এইসব টাকা আর হানিফকে দিয়ে ফাইল হাতানোর উদ্দেশ্যেই হলো আমাকে ব্ল্যাকমেইল করা। ইতিমধ্যেই তার সেই ব্ল্যকমেইল কর্মকান্ড শুরু করেছে মিলন।

সাইদুর রহমানকে নাস্তিক আর কোরআন অবমাননাকারী আখ্যা দিয়ে শহরজুড়ে হ্যান্ডবেল বিলি করছে মিলনবাহিনী। মানবন্ধন করছে। ঈমামদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তার নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষনা দেয় মিলন ও তার সহযোগীরা। কিন্তু বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসির কঠোর হস্তক্ষেপে ব্যার্থ হয়। ওই সময় সাইদুর রহমানের ডাকে শতাধিক লোকজন তার পাশে দাঁড়ায়। 

তাদের মধ্যে ছিলেন, রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির (আরআরইউ) সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাপ্তাহিক বাংলার বিবেক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজ ও দৈনিক বার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মাসুদ রানা রাব্বানী। সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জাতীয় দৈনিক সময়ের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার অভিলাষ দাস তমাল। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান সাংবাদিক রাতুল সরকার, তিনি বাংলাদেশের আলো পত্রিকায় কর্মরত। সাংবাদিক মাসুদ আলি পুলক জাতীয় দৈনিক সময়ের কাগজ স্টাফ রিপোর্টার ও ফটো সাংবাদিক মামুনুর রহমান কাঁচুসহ আরও অনেকে। 

এতেই তাদের উপর নেমে আসে বিপত্তি।

ফেসবুক লাইভে রাত ৩টা ৫ মিনিটে নুরে-ইসলাম মিলন তার ছেলে, সাইদুর রহমানের বেতনভুক্ত চাকর হানিফ, মোজাম্মেল হক বাবু, ভুয়া পিবিআই গোলাম রসুল রনক, সুমন, মারুফসহ আরো কয়েকজন ফেসবুক লাইভে সাইদুর রহমান, পুলক, কাচু, তমাল ও রাতুলকে মা তুলে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর রেল স্টেশন থেকে ওয়েলডিং মিস্ত্রি উপচার পত্রিবার স্টাফ রিপোর্টার টু-পাস সুরুজ আবার ফেসবুক লাইভে এসে কয়েকজন মিলে গালি দেয়। এরপর রাজশাহী আদালত চত্বরে সুরুজ আর সিরাজগঞ্জের বাবু ফেসবুক লাইভে এসে গালি দেয়। যাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক ভাইরাল হয়। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন, এমনই দাবি ভুক্তভোগীদের।

প্রশ্ন হলো: নুরে-ইসলাম মিলন তার ছেলেকে নিয়ে মদ খেয়ে গভির রাতে রাস্তায় গালি দিয়ে বেড়ায়। কেমন গুনধর পিতা হলে এমনটি সম্ভব? সাইদুর রহমানের বেতনভুক্ত চাকর হানিফ প্রতিনিয়তই ফেসবুকে সাইদুর রহমানসহ সকলকে গালিগালাজ করে। চাকর হয়ে এতো সাহস পায় কোথায়? সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে এসে বালিয়াপুকুরের ভাড়াটিয়া মোজাম্মেল হক বাবু, তার নামে রয়েছে একাধিক মামলা। সে শাহজাদপুর পারকোলা গ্রামের একটি বস্তির বাসিন্দা। তাকে নারি কেলেঙ্কারীতে ১০০ জুতার বাড়ি আর নাকে খত দিয়ে গ্রাম ছাড়া করেছে গ্রামবাসীরা। সেই বহিরাগত কোন সাহসে শান্তির নগরীতে অশান্তি সৃষ্টি করছে ? ভুয়া পিবিআই সেজে পুলিশের হাতে আটক হয় গোলাম রসুল রনক, সে যেদিন পুলিশের হাতে আটক হয় সেদিন রাত ৮টায় মতিহার থানার ওসি এবং এসআই আমিনূলের কাছে হাতে ব্যন্ডেজ জড়িয়ে গিয়েছিলো। এ্যাকসিডেন্ট হয়ে হাত ভেঙ্গে গেছে নাটক করে সাহায্যে ভিক্ষা চেয়েছিলো।  ওই রাতেই সে টাংগণে পুলিশের লাইটিং ড্রেস পরে পিবিআই পরিচয় দিয়ে ধান্দাবাজি করার পর কাটাখালি থানা পুলিশ তাদের আটক করে। সে আবার সাংবাদিক রাব্বানী সহ ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ফাইল করে। তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মাদকের টাকার জন্য সে তার বাবা-মাকে বিরক্ত করে। এই ভিখারি মিলনের কথায় আদালতে মামলাটি ফাইল করেছে।

শিরোইল কলোনী পাবনা পাড়ার সুমন তারও বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। তেরখাদিয়ার ওয়েলডিং মিস্ত্রি মৃত মানিকের ছেলে সুরুজ তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিষ্ফোরক ও একাধিক চাঁদাবাজি মামলা। নাটোরের গোলাম মোস্তফার ছেলে মারুফ বালিয়া পুকুরের ভাড়াটিয়া, সার্বিক পরিস্থিতি দেখে সটকে পড়ছে নাটোরে।

ভুয়া ম্যজিস্ট্রেট সহ নানা পরিচয়দানকারী মৃত ইব্রাহিম অরফে ইব্রা চোরের ছেলে ইমদাদ, তার ভাই রেজাউল করিম মাদক সহ একধিক মামলার আসামী। তাদের বাড়ি দূর্গপুর থানার শুকানদীঘি গ্রামে। ওই গ্রামে খোঁজ নিলেই জানা যাবে চুরি সহ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এরা এখন জোটবদ্ধ: সরকারি ভাবে ফেসবুকে খবর পড়া নিষিদ্ধ থাকলেও এরা ফেসবুকে খবর পড়ে। ভাষা যাই হোক সত্য মিথ্যা মিলিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। যা শিঘ্রই প্রকাশ হবে।

এবার আসি মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার জামালপুরে মোবাইল দোকানীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায়:

রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার গোরহাঙ্গা এলাকার মোঃ একরামুল হক বাবুর ছেলে এহেসানুল হক আফ্রিদি (২৫) নামের এক মোবাইল দোকানীকে ভদ্রা জামালপুর মাঝার পাশে তার শরীরের ১৫টি স্থানে ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিষপত্র ছিনতাই করেছে ছিনতাইকারীরা। এতে তার শরীরে ১৪১টি সেলাই দিয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ ঘটনায় যে কয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় তারা হলো: ভুয়া দুদক অফিসার ও সুপার চিট খ্যাত মোঃ নুরে ইসলাম মিলন, মাদকাশক্ত, চিট, মিথ্যা কথায় পারদর্শী, ভুয়া পিবিআই রনক। অবশ্য সে নিজেই স্বিকার করে মাদকাশক্ত সে। রয়েছে সিরাগঞ্জ থেকে আসা মোজাম্মেলহক বাবু। তার পরিচয় উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

তারা তাদের বিভিন্ন ভুঁইফোড় অখ্যাত নিউজ পোর্টালে লিখেছে তালাইমারী এলাকার তালিকাভুক্ত শির্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদকব্যবসায়ী, বোমাবাজ, অস্ত্রধারী কথিত সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানী ও তার শালা এহেসান হাবীব তারা কৌশলে আহত যুবকের বোনজামাই সোহেল সরদারকে ভুল বুঝিয়ে রাজশাহীর তিন সাংবাদিকের নামসহ চার জনের নাম এ মামলায় অন্তরভূক্ত করেন। যা এ ঘটনার সাথে তারা কোন ভাবেই জড়িত ছিলেন না ৬নম্বর থেকে ৯নম্বর আসামী যাদের করা হয়েছে।

এ ব্যপারে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান আলী জানান, মোবাইল দোকানীকে ছুরিকাঘাতের বিষয়ে আমার থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার ৬নং আসামী থেকে ৯ নং আসামীরা কোন ভাবেই জড়িত নয়। তালাইমারী এলাকার সাংবাদিক রাব্বানী ও তারাসহ তাদের কয়েকজনের চাপের মুখে এই মামলাটি করতে হয়েছে।

তারা আরও উল্লেখ করেন, মামলার তদন্ত না করতেই র‌্যাব-৫ সাংবাদিক নেতাদের আটক করে আমার থানায় জমা দিতে আসলে তারা এই মামলার সাথে সম্পৃক্ত না থাকায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের দেয়া আসামী গ্রহন করিনি।

*অথচো ওই চিটগুলি রামেক হাসপাতালে গিয়ে মামলার বাদী সোহেল এবং ভিকটিম আফ্রিদির সাথে ফেসবুক লাইভে প্রশ্ন করেছে। বাদী ভিকটিম কেউই সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানীর নাম বলেনি। তারা এ বলেন যে সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানীকে চেনেনা। তারা অপপ্রচার করছে সাইদুর রহমান ও মাসুদ রানা রাব্বানী জোর করে চাপ দিয়ে ওসিকে দিয়ে মামলা করিয়েছে এবং র‌্যাবকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১১টায় তাদের প্রকাশিত সংবাদ দেখে রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির (আরআরইউ) সভাপতি আব্দুল মুগণী নীরো। চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরান আলির কাছে জানতে চান সাংবাদিক তারা ও মাসুদ রানা রাব্বানী আপনাকে চাপ দিয়ে মামলা করিয়েছে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। উত্তরে তিনি বলেন, তারাকে আমি চিনি না। আর সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানীর সাথে আমার মামলার বিষয়ে কোন কথা হয়নি বা তিনি তদবির করেননি। তাছাড়া আমার কাছে কেউ কোন বক্তব্য নেয়নি। তারা সংবাদে যা লিখেছে এটা তাদের নিজেদের বক্তব্য আমার বক্তব্য না। এটা বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বলেও জানান ওসি।

সাংবাদিক রাব্বানী বলেন, ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে সুনামের সাথে সাংবাদিকতা করে আসছি। বর্তমানে জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজ ও দৈনিক বার্তা পত্রিকার নিয়মিত স্টাফ রিপোর্টার এবং বেতন ভুক্ত। পাশাপাশি বালু ব্যবসায় রয়েছে ২৩ বছর।

তিনি আরও বলেন, তালাইমারী এলাকার তালিকাভুক্ত শির্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদকব্যবসায়ী, বোমাবাজ, অস্ত্রধারী কথিত সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানী। বার বার এই কথাগুলির জন্য আদালতের দারস্থ হবো বলেও জানান তিনি।

আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যে প্রনোদিত হয়ে অপপ্রচারকারীদের ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানাচ্ছি মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহাদয় এবং র‌্যাব-৫, অধিনায়ক মহাদয়ের নিকট। 

আজ যারা সাংবাদিক বলে দাবি করছে তারা কারা ? তাদের কর্ম কি ? সংসার চলে কি ভাবে ? কোন পত্রিকায় কাজ করে ? বেতন ও ব্যবসা নাই, চলে কিভাবে ? আমি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি এবং দোষিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক রাব্বানী।