বগুড়ার গাবতলীতে নশিপুর ইউনিয়নরে বড় ইটালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৮সেপ্টেম্বর গাবতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগটি দাখিল করেছেন একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষে সভাপতি নূর মোহাম্মাদ।
এর অনুলিপি দিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের মহাপরিচালক, বগুড়া দূর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক, রাজশাহী বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষ দপ্তরের উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও গাবতলীর ইউএনও’র বরাবরে। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিদ্যালয়ের অনুকুলে বরাদ্দকৃত সমস্ত অর্থ ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে আত্মসাত করেছেন।
উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, স্লিপ, রুটিন, প্রাক প্রাথমিক, ক্ষুদ্র মেরামত, দূর্যোগকালীন ভাতা, ওয়াসার প্রোগ্রাম-এ সবের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে তার কোন সদুত্তর প্রধান শিক্ষকের কাছে নেই। বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ ও আসবাবপত্র তছরুপ করেছেন। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক স্বেচ্ছাচারী করে কোন মিটিং ডাকেন না। তবে ৫/৬টি রেজুলেশন ভুলভাল দেখিয়ে একসাথে স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে গাবতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাহিদা আকতারের সাথে গতকাল সোমবার মোবাইল ফোনে কথা বলা হলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ তিনি হাতে পেয়েছেন। বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্তের জন্য শীঘ্রই তিনি একটি কমিটি গঠন করে দিবেন। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। তবে প্রধান শিক্ষক আ: হামিদ বলেন, বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক। একটি মহল তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।