সুস্থতার জন্য যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। তেমনি সুন্দর ত্বক পেতেও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। শাক-সবজি, মাছ-মাংস, ফল, বাদাম, দুধ ইত্যাদি খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। শুধু তাই নয়, এই খাবারগুলো ত্বক ভালো রাখতেও সমান কার্যকর।
বিভিন্ন কারণে অনেকের ত্বকেই বয়সের আগে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যায়, এছাড়াও ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা সমাধানে ভরসা রাখুন আখরোটে। আখরোট মূলত বাদাম জাতীয় ফল। আখরোটে আছে প্রচুর পরিমাণে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। তবে এসবের বাইরে আখরোট আরো নানা উপকারে আসে। এটি শুধু শরীরের যত্ন নেয় তা নয়, ত্বকের যত্নেও সমানভাবে উপকারী আখরোট। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ত্বকের যত্নে আখরোটের উপকারিতা সম্পর্কে-
ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে: আখরোটের পেস্ট করে তার সঙ্গে মধু ও অলিভ তেল মিশিয়ে সপ্তাহে এক থেকে তিন বার ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
চুলকে মজবুত রাখে: পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স সমৃদ্ধ আখরোট চুলকে মজবুত রাখে। এছাড়া আখরোট তেল চুলে মাখলে চুল হবে মসৃণ ও কোমল।
ত্বককে আর্দ্র করে: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আখরোট থাকলে ত্বকের শুষ্কভাব দ্রুত দূর হয়। রোজ আখরোট খেতে না চাইলে আখরোটের তেল তৈরি করেও মাখতে পারেন। আখরোট ত্বককে ভেতর থেকে আদ্র করে।
চোখের নিচে কালি দূর করে: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ঘুমের ঘাটতি প্রভৃতি কারণে চোখের তলায় কালি পড়ে যায়। রাতে শোয়ার আগে অল্প করে চোখের তলায় আখরোট তেল লাগাতে পারেন। খুব তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে চোখের তলার কালি।
ত্বকের অকালবার্ধক্য রোধ করে: আখরোটে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। মানসিক চাপ কমাতে ভিটামিন বি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আর মানসিক চাপ কমলে তার প্রভার পড়বে ত্বকেও। ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আখরোট ত্বকের বলিরেখা রোধ করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও চকচকে।