আল্লাহ তাআলা জীবন সংগ্রামে সফলতা লাভের দু’টি উপায় কুরআনে ঘোষণা করেছেন। যার প্রথমটি হচ্ছে নামাজ আর দ্বিতীয় হচ্ছে সবর। জীবন সমস্যায় সাফল্য অর্জনের উপায় নামাজ। যা পূর্বেই তুলে ধরা হয়েছে। এ দু’টি গুণই পৃথিবীতে মানুষের জীবন সংগ্রামে সফলতার জন্য সর্বোত্তম গুণ হিসেবে বিবেচিত। সবর যদিও সময় ক্ষেপনের জন্য তিক্ত, তবুও তার ফলাফল অত্যন্ত মধুময়। তাই কুরআন ও হাদিসে সবর অবলম্বনের তাগিদ করা হয়েছে।
সবরই একমাত্র পন্থা বা উপায় যদ্বারা জীবন-সংগ্রামে সাফল্য অর্জন করা সহজ এবং সম্ভব হয়। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুনিয়াতে যদি কোনো ব্যক্তিকে সবর অবলম্বনের গুণ প্রদান করা হয় তবে মনে করতে হবে যে, তাকে সবচেয়ে উত্তম এবং ব্যাপকতর নিয়ামাত প্রদান করা হয়েছে। কেননা সবরের তাৎপর্য হচ্ছে- নিজেকে অন্যায় কাজ থেকে তথা আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতা থেকে বিরত রাখা। বিপদে ধৈর্য ধারণ করা, অথবা প্রাপ্ত নিয়ামাতকে স্মরণ করে বর্তমান বিপদে সবর অবলম্বন করা। জীবন সাধনার সার্থকতায় এ সবরের প্রয়োজন অত্যন্ত বেশি।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সফরে ছিলেন। এমন সময় তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছলো, তখন তিনি ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পাঠ করলেন এবং উষ্ট্রকে পথের পার্শ্বে বসিয়ে নামাজ শুরু করলেন এবং সুদীর্ঘ সময় পর্যন্ত নামাজে রত রইলেন।
এভাবেই হজতর সাহাবায়ে কেরামগণ সবর এবং নামাজের মাধ্যমে জীবনের কঠিন মুহূর্ত ও সমস্যার মোকাবেলা করে এবং কুরআনের শিক্ষার বাস্তবায়ন করেছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সবর এবং নামাজের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময় / এফ কে