২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৬:৪০:০৭ অপরাহ্ন


জোড়া পিস্তল নিয়ে হামলা করা রুবেলের কান্না, যা বললেন রিমান্ডে
ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৯-২০২৪
জোড়া পিস্তল নিয়ে হামলা করা রুবেলের কান্না, যা বললেন রিমান্ডে


রাজনীতিতে জড়িয়ে এখন অনুতপ্ত রাজশাহীর শীর্ষ সন্ত্রাসী জহিরুল হক রুবেল (৩৫)। পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা জোড়া পিস্তল নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই কান্নাকাটি করছেন।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতিতে জড়িয়ে বড় ভুল করেছি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে বাদাম বেঁচে খেলেও ভালো করতাম। এখন এমন বিপদে পড়তে হতো না।’

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা বুধবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট রাজশাহীতে জোড়া পিস্তল নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর একসঙ্গে দুই হাতে গুলি চালাতে দেখা যায় রুবেলকে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে দুজন মারা যান। এ ঘটনায় করা দুটি মামলাতেই আসামি করা হয় সন্ত্রাসী রুবেলকে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে কুমিল্লা থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করে র্যাব। রাজশাহীতে আনার পর তাকে শিবির নেতা আলী রায়হান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার আদালতে তোলা হয়। এ সময় পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চায়। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বুধবার রিমান্ডে চতুর্থ দিনের মতো রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলেই রুবেল কান্নাকাটি করছেন। রাজনীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার কারণে রুবেল অনুতপ্ত বলে জানাচ্ছেন। হতাশা প্রকাশ করে বলছেন, রাজনীতি করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজশাহীর নেতাদের কেউ এখনো সেভাবে গ্রেফতার হয়নি; কিন্তু তিনি ‘ফেঁসে’ গেছেন। তবে রুবেল জোড়া পিস্তল হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর কথা রিমান্ডের প্রথম দিনই স্বীকার করেছেন। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতেও রুবেল প্রস্তুত।

জানা গেছে, রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আলী রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) তাজউদ্দিন ছাড়াও সাকিব আনজুম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফুল ইসলামও উপস্থিত থাকছেন। এছাড়া থাকছেন নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। রুবেলের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করছেন।

আলী রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তাজ উদ্দিন তাঁজ বলেন, রুবেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে অস্ত্র কোথা থেকে এসেছিল, কারা অর্থায়ন করেছিল- এ বিষয়গুলো এখনো জানায়নি। আশা করছি আমরা একটা ফলাফল আনতে পারব। না পারলে আবার রিমান্ডে নেব।

তিনি বলেন, পুলিশের কাছে ধরা পড়লে সবাই অনুতপ্ত হয়। রুবেলও এখন অনুতপ্ত।

সাকিব আনজুম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফুল ইসলাম বলেন, একটি হত্যা মামলায় রুবেল রিমান্ডে আছে। ওই মামলার রিমান্ড শেষ হলে তাকে আমিও রিমান্ডে আনব।