বগুড়ার শেরপুরে হানিফ পরিবহনের দ্রুত গতির একটি বাস মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী এক তরুণী ও অটোরিকশার চালক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অটোরিকশার চার যাত্রী। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হামছায়াপুর এলাকার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোটরসাইকেল আরোহী মারুফা (২২) ও অটোরিকশার চালক আব্দুল বাছেদ (৩৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রংপুর থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস শেরপুর উপজেলার কোনো এক স্থানে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় হামছায়াপুরে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশার চালকসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। পরে তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অটোরিকশার আব্দুল বাছেদ মারা যান।
অন্যদিকে, মোটরসাইকেল আরোহী মারুফাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, দুপুরে শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। তবে দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে। নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।