১৩ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০১:০৭:০৭ অপরাহ্ন


নাটোর জেলা সেচ ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
নাটোর প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০১-২০২২
নাটোর জেলা সেচ ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নাটোর জেলা সেচ ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ


নাটোর জেলার বিএডিসি সেচ ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ ও তার অধিনস্থ আব্দুস সামাদ (ভান্ডার রক্ষক) এর বিরুদ্ধে দুনর্ীতির নানান অভিযোগ উঠেছে। নাটোর জেলা সেচ ভবনের সূত্রে জানা যায়, তারা সরকারি প্রকল্পের নানা দুনর্ীতির ধারক ও বাহক হিসেবে চিহ্নিত। দীর্ঘদিন থেকে তারা সংশ্লিষ্ট অফিসের নানা কাজে দুনর্ীতিতে করে এককভাবে রাম রাজত্ব করে চলেছেন। 

অভিযোগ উঠেছে এই অফিসের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারি সাজ্জাদের কাছে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সূত্র মতে গত ২০১৪ সালে কুষ্টিয়া তার অধিনস্থত উপসহকারী (এছো) হালিম শেখ বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়ে অবশেষে সাজ্জাদের গালে খুর দিয়ে পেঁাচ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। 

নাম না প্রকাশের শর্তে সেচ ভবনের একাধিক কর্মচারি জানান, চাকুরীর শুরু থেকেই তার অধিনস্থ কর্মকতার্ ও কর্মচারীদের নির্যাতন করে আসছেন। এছাড়াও তার নিজের অফিসের তত্বাবধায়নে থাকা মালামাল নিয়ে হিসাবের নানান গড়মিল রয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষ তদন্ত করলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হতে পারে!

সম্প্রতি এলাকাবাসীর একটি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিএডিসি গোডাউন নাটোর এর প্রধান গেটের উত্তর পাশের্ব প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো একটি বড় মেহগনি গাছ চুরি করে কেটে নেয়। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গাছটি কর্তন করলেও তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিনি বহাল তোবিয়াতে রয়েছেন। 

এই ব্যাপারে স্থানীয় জেলা প্রসাশক, জেলা বনবিভাগ সহ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয় কপোর্রেশন এর চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষকে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কারো কোন পদক্ষেপের নেওয়া হয়নি। ঐ এলাকার একাধিক এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে তারা জানান, সাজ্জাদ কর্তৃপক্ষদ্বয়কে ম্যানেজ করে তিনি বহাল তোবিয়াতেই আছেন। কয়েকটি সূত্র বলছে, সাজ্জাদের বিরুদ্ধে নাটোর সদরের দুনর্ীতির কারণে আন্দোলোনে ফুঁসে উঠতে পারে। তাই সাজ্জাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরী প্রয়েজন।

এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি বিষয়টি সু-কৌশলে এড়িয়ে যান। 

রাজশাহীর সময় / এম আর