শিক্ষা কার্যক্রম যেন বন্ধ বা ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যেই ৫-১১ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
দেশে এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনার প্রথম ডোজ পেয়েছে। সেই সঙ্গে ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম যেন বন্ধ বা ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যেই ৫-১১ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। এর আগে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হয়েছে। আর কখনোই যাতে শিক্ষা কার্যক্রম কিংবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে না হয়, সে জন্য সবাইকেই টিকার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা খুবই আনন্দিত। কারণ, আজ আমরা শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। টিকা দেয়ায় বাংলাদেশের সফলতা সারা বিশ্বেই স্বীকৃত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ যে বিরাট সাফল্য পেয়েছে, সারা বিশ্ব আজ আমাদের প্রশংসা করছে।’
‘শিশুদের টিকা কার্যক্রমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের শুরু থেকে সহযোগিতা করে আসছে। আর এ কার্যক্রম মূলত প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জড়িত, সঙ্গে আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনায় আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তারপরও সজীব ওয়াজেদ জয়ের সহযোগিতায় আমরা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। দেশে এখনো অতিমারি চলছে, হয়তো প্রকোপ কম। এ জন্য স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ ও টিকা নিতে হবে। ৫ থেকে ১১ বছরের সব শিশুই সুরক্ষার আওতায় আসবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট প্রমুখ।