বিড়ি শিল্পকে বহুজাতিক কোম্পানীর হাত থেকে রক্ষার জন্য পাবনায় মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারক লিপি পেশ করেছে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়ন।
সোমবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান।
জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি মো. হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম ইসলামের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, কার্যকরি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের মো. আলম হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক দুলাল মোল্লা, সাংগাঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, অর্থ সম্পাদক টোকন রায়, প্রচার সম্পাদক রাণী খাতুন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক চামেলী খাতুন প্রমূখ।
বক্তব্যকালে বক্তাগণ বলেন, সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর এজেন্টরা দেশের বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের জন্য নানা পায়তারা করে যাচ্ছে। দেশে বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে বিদেশি একটি বহুজাতিক কোম্পানীর কম দামি সিগারেটের শুল্ক ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে নিম্নস্তরের শলাকা সিগারেটে মূল্যস্তর ৩৯ টাকা থেকে ৪০ টাকা অর্থাৎ মাত্র ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটা বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের নীল নকশা।
এছাড়াও বক্তাগণ বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতীত বিড়ি কারখানার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধের জোর দাবি জানান। সেই সাথে বিড়ি শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী হাজার প্রতি ৬৫টাকা এবং বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প হিসাবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
এসময় পাবনার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বিপুল সংখ্যাক বিড়ি শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।